অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে জাওয়াহিরির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) একাধিক মার্কিন গণমাধ্যম ও হোয়াইট হাউজ এ দাবি জানিয়েছে।
পাকিস্তানে এক মার্কিন হামলায় ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর আয়মান আল জাওয়াহিরি আল কায়েদার দায়িত্ব নেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, হোয়াইট হাউজ সোমবার (১ আগস্ট) কোনো কর্মকর্তার নামোল্লেখ না করে এই অভিযানের সন্ত্রাস-বিরোধী সফলতার কথা জানায়। আল জাজিরা জানায়, সিআইএ এর একটি ড্রোন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
রয়টার্সকে এক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ আল কায়েদা টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র সফল অভিযান চালিয়েছে। এসময় তিনি দাবি করেন, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক মারা যাননি।
এদিকে মার্কিন প্রশাসন বরাবরই বলে আসছে, টুইন টাওয়ারে হামলার নেপথ্য কারিগর ওসামা বিন লাদেনের এই ঘনিষ্ঠ সহযোগী আয়মান আল জাওয়াহিরি।
এর আগে আরেক আল কায়েদা নেতা আবু হামজাহ আল ইয়েমেনিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। সিরিয়ান বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টুইটের মাধ্যমে জানায়, হামলাটি আবু হামজাহ আল ইয়েমেনিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এ সময় তিনি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। দুটি রকেট আঘাত হেনে তাকে হত্যা করা হয়। মার্কিনিদের দাবি, এ অভিযানে কোনো বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সিরিয়ার একটি মানবিক সংস্থা এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, মধ্যরাতের কিছু আগে আবু হামজাহর মোটরসাইকেলটিকে লক্ষ্য করে দুটি রকেট হামলা চালালে তিনি নিহত হন। আল কায়েদার সমর্থকরা ২০১৮ সালে হুরাস আল দিন প্রতিষ্ঠা করে। এর আগে ২০২০ সালে জুনে ইদলিবে ওই সংগঠনের শীর্ষ জর্ডানিয়ান কমান্ডার খালেদ আরুরি মার্কিন হামলায় নিহত হন। তার আগে ২০১৯ সালে সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডার বিলাল খুরাইসাত ওরফে আবু খাদিজা আল উরদানি নিহত হন। তিনি জর্ডানের নাগরিক ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.