এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
বাঙালির পিঠাপুলি থেকে শুরু করে মজাদার অনেক পদের রান্নায় সুস্বাদু নারকেলের বিকল্প নেই। কিন্তু ক্রমে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নারকেল। বর্তমানে খুচরায় প্রতিটি বড় নারকেল বিক্রি হচ্ছে ১শত থেকে ১শ ২০ টাকায়।
কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওতে বেশি দামে বিক্রি করছে নারকেল। এতে করে ক্রেতারা বেকায়দায় পড়েছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। ১৭ এপ্রিল রাতে ঈদগাঁওর চাল বাজারের ত্রিমুখী পয়েন্ট এক ক্রেতা নারকেল কিনতে গেলে বিক্রেতার চড়া দাম শুনে অবশেষে ঐ ক্রেতা নারকেল না কিনে চলে যায়।
কয়েক ক্রেতা জানান, অন্যান্য সময়ে নারকেলের দাম স্বাভাবিক থাকলেও রমজানের ঈদ মৌসুমে চড়াদামে বিক্রি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। যা ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে।
ঈদগাঁও বাজারের কালী বাড়ীর প্রবেশ পথ, বিমান মৌলভীর রাস্তার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে নারকেল বিক্রি করছে বিক্রেতারা। দেখা যায়, ছোট একটি নারকেল ৮০/ ৯০ টাকার উপরে। বড়টির দাম শত টাকার উপরে বিক্রি করছে। অনেকে নারকেলের সেই স্বাদ দ্বিগুন দামের কারনে নিতে পারছেনা।
অনেকে বলেন, পূজা-পার্বণ, ঈদ-রমজান, শীতকালীন নবান্নসহ সারা বছরই নারকেলের চাহিদা থাকে। সরবরাহ কমে যাওয়ার কারনে রমজানে দাম বাড়তি নারকেলের।
দুঃখের বিষয়, এখন ‘ঝুনা’ বা গাছপাকা নারকেল মিলছেনা। পরিপক্ক হওয়ার আগেই চামড়া খুলে নারকেল হিসেবে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.