এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার জেলার বাণিজ্যিক এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওতে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে বিশাল এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। যার ফলে চলতি এসএসসি ও দাখিলের মডেল টেস্ট পরীক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরীক্ষায় লেখাপড়ায় বিঘ্ন সৃষ্টির দায় পবিস কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলেও জানান অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় ১২ বারেরও অধিক লোডশেডিং হওয়ায় ঈদগাঁওবাসী বিকল্প চিন্তা হিসেবে কুপিবাতি ও হাতপাখা বেঁছে নিয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা শুরু হলেই গরমের সাথে তাল মিলিয়ে লোডশেডিং ও বেড়ে যায়। আগামী মাসের শুরুতেই সারা দেশে একযোগে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের একটাই দাবী, বর্তমান সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে প্রতিনিয়ত। এতে বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী নিয়মিত কুপিবাতি ও হাতপাখা হাতে নিয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কোনভাবে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎতের বিকল্প জেনারেটরের মাধ্যমেও যেন ব্যবসা হচ্ছে না। সাময়িকভাবে ঈদগাঁওবাসীর ব্যবসার ক্ষেত্রে সময় দিয়ে আসলেও তাও মাত্র দুয়েক ঘন্টার জন্য। কিন্তু সন্ধ্যা হতে না হতেই জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারাও অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে কুপিবাতির সহযোগিতায় ব্যবসা করে আসছে। ঈদগাঁওর কয়েক ব্যবসায়ীর মতে, বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা থমকে গেছে। তবে তাদের দাবী, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ একটানা লোডশেডিং করলেই কোন রকম সহ্য করা যেত। কিন্তু একটানা না করে কেন বারবার লোডশেডিং করে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত দিতে হচ্ছে তা এখন প্রশ্নবোধক হয়ে দাড়িয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ ঈদগাঁও বাজারের এ হাটের করুণ দশা। সচেতন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর দাবী, কক্সবাজার গোটা জেলা হতে এ ঈদগাঁও থেকে সরকারের কোষাগারে মোটা অংকের অর্থ জমা হয়ে থাকে। অথচ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একেবারে পিছনে বললেই চলে এ ঈদগাঁও। তা না হলে কক্সবাজার সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় যদি নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে তাহলে ঈদগাঁওবাসী কেন বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যুতের সেবা থেকে? এদিকে লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে তাদের হাত নেই। কক্সবাজারস্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এগুলি সরবরাহ করে থাকে। তারপরও আমরা বিদ্যুৎ সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ঈদগাঁও পবিসের এজিএম। গরম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বার বার লোডশেডিং কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছে না ঈদগাঁওবাসী।
অপরদিকে গরমে অতিষ্ট হয়ে গোটা বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী হাতপাখা ও কুপিবাতির প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। অপরদিকে ফারজানা ও হাসনার মত দু’শিক্ষার্থী বিদ্যুতের কারণে তাদের পরীক্ষায় দারুনভাবে বিঘ্ন ঘটছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে ঈদগাঁওকে লোডশেডিংমুক্ত রাখার দাবী জানান।
You must be logged in to post a comment.