এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারস্থ নুর আহমদ নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন নুর ম্যানশন ভাড়া কলোনীর ১৫টি বাসা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় বাজারে আসা লোকজন দীর্ঘ দেড় ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ঘন্টাব্যাপী দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লেও সোয়া এক ঘন্টার পর কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসেও কোন কাজ করতে পারেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঈদগাঁও নদীতে পাইপ লাগিয়ে আগুন দমকল মেশিন বিকল হওয়ায় বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে গোটা ঈদগাঁওবাসী ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
১ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঈদগাঁও বাজারের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পিছনেই এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ম্যানশনের নিচতলার লেপ-তোষকের কারখানা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে ওই ম্যানশনের ১৫টি বাসার মধ্যে অধিকাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সচেতন মহলের ধারণা। ঘন্টাব্যাপী আগুনের লেলিহান দাউ দাউ করে জ্বলে উঠার পরপরই ঈদগাঁও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। তন্মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, জালালাবাদ আওয়ামীলীগ সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজীসহ একাধিক লোকজন।
আগুনের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া তদন্ত কেন্দ্রের সমস্ত অফিসার ও পুলিশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। অগ্নিকান্ড কবলিত ওই নুর ম্যানশনে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। আগুনে ঐসব কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঈদগাঁওবাসীর দাবী, প্রতিবছরে একাধিকবার আগুনের সুত্রপাত ঘটে বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত এ ঈদগাঁও এলাকার কোটি কোটি টাকার সম্পদ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও ঈদগাঁওবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী ফায়ার সার্ভিস ঈদগাঁওতে স্থাপিত না হওয়ায় এ মরণ দশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বলে জানান অনেকে।
You must be logged in to post a comment.