এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
বৈশ্বিক চলমান করোনা ভাইরাস আতংক কাটছেনা কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওবাসীর মাঝে। বৃহত্তর এলাকাজুড়ে চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ বেশ কজনের করোনা পজেটিভ আসায় আতংকে রয়েছেন মানুষজন। এমনকি অনেকে ভয়ে ঘর থেকে সহজে বের হচ্ছেনা। প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ছাড়াই সচেতন লোকজনদেরকে বাহিরে তেমন দেখাই যাচ্ছেনা।
তবে নিরাপদে অবস্থান, অপ্রয়োজনে বাড়ী থেকে বের না হওয়া আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হলেও এসবকে তোয়াক্কা করছেনা গ্রামীন জনপদের লোকজন। জমায়েত ঠেকানো যাচ্ছেনা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা হয়ে রাত পর্যন্ত বাজারসহ বৃহৎ এলাকার পাড়া মহল্লা জুড়ে আড্ডাবাজি থামছেনা।
করোনা ভাইরাস সবখানে ছড়িয়ে পড়ার পরও পাড়া মহল্লায় এখনো অনেক দোকানপাঠে জড়ো হয়ে খোশগল্পে মেতে উঠেন অসচেতন লোকজন। এসব দেখার যেন কেউ নেই। বাজারের পাশাপাশি গ্রামে গঞ্জে আড্ডাবাজি বা জমায়েত ঠেকাতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যতক্ষণ অভিযান চলে ততক্ষণ লোকজনরা গা ঢাকা দেয়। পরক্ষণে আবারো একই কায়দায় পরিণত হয়ে পড়ে। বারবার তারা অক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
সচেতন লোকজন জানান, যদি গ্রামীন জনপদে জমায়েত বন্ধ কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা না যায়, করোনা সংক্রমণ কিছুতেই ঠেকানো সম্ভব নয়। করোনার থাবা থেকে রক্ষা পেতে লোকজনকে সচেতন হতে হবে। নইলেই বিপদ আসন্ন। সবখানেই আতংক বিরাজ করছে।
জেলা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন স্থানে এই পর্যন্ত বেশ কজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন জেলায় করোনা পরীক্ষায় সদরে কমবেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এই আতংক কাটছেনা তাদের মাঝে। আক্রান্তদের বাড়ী বা প্রতিষ্টানও লকডাউন করা হয়। তবে লোকজন বর্তমান সময়েই নিরাপদে গৃহবন্দিতে দিনপার করছেন। রাজনীতিবীদ, সচেতন ব্যবসায়ীরা এখন বাড়ীতে। ভয়ে কিংবা দূরত্বে থাকতে বাজারে বা জনসম্মুখে আসছেন না অনেকে। সামাজিক বা শারিরীক দুরত্ব বজায়, আড্ডা থেকে নিজে বা পরিবার পরিজনকে বিরত রাখতে হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৪ মার্চ থেকে ঈদগাঁও বাজারে করোনা আতংকে দোকানপাঠ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
You must be logged in to post a comment.