এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা যোগাযোগ ব্রীজটি অবশেষে চলাচল উপযোগী হয়েছে। পাশাপাশি ঝুলন্ত ব্রীজের আদলে এটি নির্মিত করায় এলাকার সর্বশ্রেণীর মানুষের মাঝে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
জানা যায়, বিগত বছর বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া ব্রীজটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কাঠ দিয়ে কোন রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু চলতি বছর অর্ধ মাস পূর্বে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর ঢলের পানির ধাক্কায় জনগণের নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে সাধারণ লোকজন, রোগীসহ শিক্ষার্থীরা নানা কষ্টের বিনিময়ে নৌকা নিয়ে নদী পার হচ্ছিল। গেল বছর থেকে এ পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র এ সাঁকোটি শক্তভাবে সংস্কার না করায় হতাশ হয়ে পড়েছিল চলাচলকারী লোকজন। আবার এ যোগাযোগ ব্রীজটি সম্প্রতি ভেঙ্গে যাওয়ার পরপরই জেলা পরিষদ প্রশাসক, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ পরিদর্শন করেছিলেন।
এদিকে বেশ কিছুদিন কষ্টের বিনিময়ে জেলা পরিষদের সহায়তায় ও নবনির্বাচিত ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে এ ব্রীজটি লোকজন চলাচলের জন্য ঝুলন্ত ব্রীজের আদলে নির্মাণ করে। এ নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের লোকজনের মাঝে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা কাজকর্মে দৈনিক হাজার হাজার লোকজন চলাফেরায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছিল। এমনকি অনেকে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দূরবর্তী স্টেশন পার হয়ে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারে নানা কাজকর্মের লক্ষ্যে ছুটে আসত।
এছাড়াও ঈদমুখী লোকজনের যাতায়াতে দারুন দূর্ভোগ পোহাচ্ছিল এলাকার জনগণ। আরো জানা যায়, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ইসলামপুর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামাবাদের পাহাশিয়াখালী, বোয়ালখালী, ইউছুপেরখীল, টেকপাড়া, আউলিয়াবাদ, খোদাইবাড়ীর একাংশ, হরিপুরসহ বাঁশঘাটার আশপাশ এলাকার লোকজন ও পোকখালীর গোমাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজকর্মে ঈদগাঁও বাজারমুখী হতে পারছিল না। বর্তমান সময়ে এ বাজারে আসতে অসহায় লোকজনকে নানাভাবে পোহাতে হচ্ছে নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি।
এছাড়াও ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও লুত্ফুল কবির আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে নৌকা দিয়ে নদী পেরিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসতে দেখা যায়। এমনকি বিশাল এলাকার দৈনিক ১৫ হাজার লোকজন বিভিন্ন কাজকর্মের লক্ষ্যে বাজারে যাতায়াত করে থাকে। তবে এ ব্রীজটি ২৯ জুন সকাল থেকে যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও লোকজন চলাচলের উপযোগী হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিকের সাথে কথা হলে তিনি জেলা পরিষদের সহায়তায় ও তাঁর তত্ত্বাবধানে ব্রীজটি নির্মিত হয়েছে বলে জানান।
You must be logged in to post a comment.