ঈদগড়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বড়বিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শরীফ পাড়ার মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা হত্যাকান্ডে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮ জানুয়ারী বিকেলে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় এক আসামী আটক ও হয়েছে। মামলাটি দায়ের করা হয় ৭ জানুয়ারী রামু থানায়। যার নং ৭/১৬। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগড় মোহাম্মদ শরীফ পাড়া এলাকার ফয়েজ আহমদের পুত্র বাইশারী ইউনিয়নের চৌকিদার নাছির উদ্দীন এবং তার ভাই আবুতাহেরসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন রামু থানা তদন্ত ওসি মোহাম্মদ কায় কিসলু।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, উক্ত মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীগণের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া, ব্যংঢেবা, বাইশারী ইউনিয়নের ক্যাঙ্গারবিল, ঈদগাঁও ইউনিয়নের দরগাহ পাড়া ও ভাদিতলা এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশের গতিবিধি লক্ষ্য করে হাইকোর্ট থেকে অগ্রীম জামিন নামা নেওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে আসামীরা। নিহত নুরুচ্ছফার পিতা আবদুল মাবুদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই এবং আমার ছেলে আবদুল মজিদকে অপহরণ করায় এলাকার ডাক্তার মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে নুরুচ্ছফা বাদী হয়ে মামলা করায় পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রামু থানা তদন্ত ওসি মোহাম্মদ কায় কিসলু জানান, এজাহারভুক্ত আসামীদেরকে আটকে অভিযান চলছে। রামু থানা ওসি আবদুল মজিদ জানান, এজাহারভুক্ত আসামীদের মধ্যে কেউ রাজনৈতিক নেতা নয়। তাদের আটক পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হবে। অপরদিকে আসামী পক্ষের লোকজন সবাই আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কারও সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
You must be logged in to post a comment.