কামাল শিশির; রামু :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কটি দিয়ে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি, রামু ও কক্সবাজার সদর এ তিন উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনকে চলাচল করতে হয়।
সড়কের হিমছড়ি ঢালাসহ প্রায় স্থানে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা রাস্তার পাশের বিভিন্ন বন জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে রাতের আঁধারে ও দিনে হঠাৎ করে রাস্তায় এসে যানবাহনে ডাকাতি করে দ্রুত সটকে পড়ে। পথচারী ও যাত্রীদের সর্বস্ব লুটের পাশাপাশি আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
তাই সড়কে যানবাহন ডাকাতি রোধে সড়কে লাইটিং করার উদ্যোগ নেন কক্সবাজারের নারী সংসদ সদস্য সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। তিনি ইতোমধ্যে ৪টি সোলার প্যানেল (লাইটিং) বরাদ্দ দেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাধীন ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সড়কের পাশের বন জঙ্গল পরিষ্কার করার পাশাপাশি সড়কের পাশে এসব সোলার প্যানেল স্থাপন (লাইটিং) করছে এবং জরাজীর্ণ চেকপোস্টটিত সংস্কার করছে বলে জানা গেছে।
গত ৮ অক্টোবর সকালে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালায় ডাকাতের হাতে নিহত হন শিশু শিল্পী জনি দে রাজ (২০) ও কৃষক মো.কালু (৫০)। তাদের দুইজনের বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নে। ২১ দিন পরও জট খোলেনি কণ্ঠশিল্পী জনি দে রাজ ও মো. কালু হত্যা রহস্য। ডাকাতের হামলায় মৃত্যুর কথা বলা হলেও, ধরণ দেখে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে করছে পুলিশ।
ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল হালিম জানান, দুর্গম জঙ্গলে আস্তানা গেড়ে লুকিয়ে থেকে ডাকাতরা সড়কে যানবাহন আটকিয়ে যানবাহনে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এজন্য সড়ক পথে জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালা অংশে লাইটিং এর উদ্যোগ নেন কক্সবাজারের নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। এরই ধারাবাহিকতায় ৪টি সোলার প্যানেল (লাইটিং) বরাদ্দ দিয়েছেন। ৪টি স্থানে লাইটগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হিমছড়ি ঢালায় জরাজীর্ণ চেকপোস্টিও সংস্কার করা হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তায় রাতে ও দিনে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ সদস্যরা।
এতে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ করা সহজ হবে। ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে হিমছড়ি এলাকা ডাকাত মুক্ত হবে, এমনটাই আশা করেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.