নিজস্ব প্রতিনিধি; উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়ায় জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সুবর্ণ বড়ুয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত সুবর্ণ বড়ুয়া। সে পাইন্যাশিয়া গ্রামের অজয় বড়ুয়ার ছেলে এবং ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে স্ত্রীর নামে ইস্যুকৃত ভিজিডির চাউল নিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে গত ৬ মাস ধরে সুবর্ণ বড়ুয়ার স্ত্রী দীপা বড়ুয়াকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাউল প্রদান করা হয়। যার কার্ড নং- ৬৯। সম্প্রতি সুবর্ণ বড়ুয়ার স্ত্রীর অসুস্থতা জনিত কারণে তার মা চাউলের জন্য পরিষদে গেলে তাকে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
পরে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুবর্ণ বড়ুয়া নিজে পরিষদে গেলে তাকে বাৎসরিক উৎসকর পরিশোধের রশিদ দেখাতে বলেন চেয়ারম্যান। সে যৌথ পরিবারের সদস্য হিসেবে বাবার নামীয় উৎস কর পরিশোধের রশিদ দেখালে চেয়ারম্যান ক্ষীপ্ত হয়ে চাউল দিবে না বলে হাতে থাকা কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে কিল, লাথি, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
আহত সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, আমাকে চাউল না দিতে পারে। আমার স্ত্রীর নামে ইস্যুকৃত ভিডিজি কার্ড বাতিল করতে পারে। আমাকে শারীরিক ভাবে মারধর করার ক্ষমতা চেয়ারম্যান কোথায় পেল ? আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম ছৈয়দ আলম বলেন, তার স্ত্রী আসলে ভিজিডির চাউল দেওয়া হবে। উৎসকর আদায়ের রশিদ লাগবে না। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়। আমি তাকে মারধর করেছি বলে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করেছে আমিও তার নামে মামলা করব।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব জানিয়েছেন, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদে সৃষ্ট ঘটনাটি পরষ্পর বিরোধী অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.