মনখালী ও শাপলাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী অনিল বড়ুয়া ও তার স্ত্রী মিতা বড়ুয়ার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ বছর ধরে স্বামী স্ত্রী একই এলাকায় কর্মরত থাকায় বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সরকারী অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছে। উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতিবাজ কর্মচারী অনিল বড়ুয়া মনখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তার স্ত্রী মিতা বড়ুয়া শাপলাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারী ঔষধ অন্যত্রে বিক্রি, সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন বাবদ ও বিনামূল্যে বিতরণের ঔষধের বিনিময়ে টাকা নিয়ে অনৈতিক উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়া সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসা বিপুল সরকারী অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ গ্রাম উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নে প্রতি বছর বছর একাধিক জমি ক্রয়, কক্সবাজার শহরে বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে নামে বেনামে একাধিক জমি ক্রয় ও বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করে রাজার হালতে বসবাস করছেন।
তাছাড়া কক্সবাজার ও কোটবাজারের বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে অসংখ্য একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা।
স্থানীয় মনখালী গ্রামের শামশুল আলম জানান, সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত কর্মচারী সরকারী টাকা আত্মসাত, ওষুধ বিক্রি সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় সরকারের মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। তাছাড়া উক্ত কর্মচারী দপ্তরে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকে। ফলে সাধারণ গরীব রোগীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। দুদক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক উক্ত দুর্নীতবাজ কর্মচারী অনিল বড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করবে বলে জানান তিনি।
এদিকে শাপলাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী জানান, এলাকার সাধারণত গরীব দুঃস্থ রোগীরা বেশির ভাগ সেবা নিতে আসেন। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী মিতা বড়ুয়া প্রথমে ওষুধ নাই বলে। পরে টাকা দিলে ওষুধ দেয়। তাছাড়া মিতা বড়ুয়ার স্বামী মনখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী করায় তার স্বামীর সহযোগিতায় সরকারী ওষুধ অন্যত্রে বিক্রি সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
অনিল বড়ুয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে আমতা আমতা করে মোবাইল সংযোগ কেটে দেয়। বারংবার চেষ্টা করেও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত কর্মচারীরা একই কর্মস্থলে নিযুক্ত থাকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানান, আমি যোগদানের পর থেকে এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্মচারীদ্বয়ের দুর্নীতির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.