সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / উখিয়ায় যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি

উখিয়ায় যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সেবা দিতে আসা ১১৯ টি দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করছে। হাজার হাজার এনজিওকর্মী ও সাধারণ যাত্রীরা এই পথে চলাচল করছে। উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, কুতুপালং বালুখালী ও থাইংখালী প্রধান সড়ক এলাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। যানজট নিরসনে উখিয়া, কোটবাজার, মরিচ্যা, থাইংখালী ও কুতুপালং ষ্টেশনে ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেছেন স্থানীয়রা। সাথে রাস্তার ওপরে বসা দোকানগুলো সরিয়ে ফেলতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

রাজাপালং ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, আমাদের সাধারণ জনগণের চলাচলের রাস্তায় অবৈধ দোকান বসানোর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় যত্রতত্র গাড়ি দাড় করিয়ে রাখা হয়।

এন, কবির মাহমুদ বলেন, উখিয়াতে টার্মিনাল না থাকায় প্রতিটি ষ্টেশনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কোন ব্যবস্থা নেই। যে যার মতন করে গাড়ি পার্কিং করে। তাছাড়া এনজিওদের শত শত গাড়ি ক্যাম্পে যাতাযাত করে। সকাল ও বিকেলে এনজিওর গাড়ি আসা-যাওয়ার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রোহিঙ্গাদের জন্যে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্যে ২৫/৩০ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হবে। এই ২৫ বা ৩০ শতাংশ টাকা স্থানীয়রা যদি সমবন্ঠনে পেত তাহলে উখিয়ার প্রতিটি মানুষের বাড়ি হতো কয়েক তলা। আমরা তো কোন কিছুই পায়না অন্তত চলাচলের সুবিধার্থে উখিয়া সদর ষ্টেশন, মরিচ্যা পালং ষ্টেশন, কোটবাজার ষ্টেশন, কুতুপালং ষ্টেশন ও থাইংখালী ষ্টেশনে ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। এটি স্থানীয়দের সময়ের দাবি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও ক্যাম্প সংলগ্ন বাজারগুলোতে পণ্যবাহী শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করায় প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিবহন যাত্রী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে ছটপট করছে রোগী। যানজটের কারণে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রশাসন, থানা, সাব-রেজিস্ট্রার-অফিস, এনজিও, স্কুল-কলেজ, ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না।

এলাকাবাসী যানজট নিরসনে গ্রামীণ বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার পাশের বাজারগুলোর পণ্যবাহী যান চলাচল ও দিনের বেলায় ওই এলাকা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকলেও কেউ তা মানছেন না। এতে এলাকার স্থানীয় মানুষ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাখ লাখ শরণার্থী শিবিরে মানবিক সেবা দিতে আসা হাজার হাজার এনজিওকর্মী ও তাদের ব্যবহ্নিত শত শত গাড়ি ছাড়াও পণ্যবাহী গাড়িতে এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে তল্লাসী চলে। ফলে মরিচ্যা চেক পোস্টসহ উখিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনগুলোতে সীমাহীন যানজট লেগেই থাকে।

উখিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোহাম্মদ আদিল বলেন, উখিয়া সদরের যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। স্কুলের সামনে গাড়ি পার্কিং নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছেই না। যার যার ইচ্ছেমতো সী লাইন ও কক্সলাইনের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহন স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের নিজ হাতে রাস্তা পার করে দিতে হয় অভিভাবকদের।

সু-শাসনের জন্যে নাগরিক সুজনের সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, যানজটের কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরণ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু যত্রতত্র যানবাহন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা ও অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে যানজটের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও বাড়ছে। আমি নিজেও টমটমের আঘাতে আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম।

রাজাপালং এলাকার আবুল হাসান আলী বলেন, কোটবাজার চৌরাস্তার মোড়ে সব সময় যাটজট লেগে থাকে। সেখানে দু-একজন ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়।একদিকে কুতুপালং ঢালায় হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি অন্যদিকে সিএনজি গাড়িতে লাইনম্যান নামধারী কিছু যুবক প্রকাশ্যে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করার কারণে পেছনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ওদিকে তাদের খেয়াল নেই। তারা শুধু চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত।

স্থানীয়দের দাবী উখিয়ার প্রধান সড়কের পাশের গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ করে প্রধান সড়কের সাথে কানেন্ট করে সংযোগ করা হলে যানজট নিরসন হবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনে ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। মরিচ্যা গরুবাজার হয়ে গোয়ালিয়া সংযোগ সড়কের সাথে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মতো বিকল্প রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/