সারা দেশে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে এই পরীক্ষা শুরু হয়। শেষ হবে দুপুর ১টায়। প্রশ্ন ফাঁস হওয়া আটকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে হাজির হয়ে যার যার আসনে বসতে হয়েছে।
প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংষ্কৃতি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ বিষয়ের পরীক্ষা চলছে।
এর আগে বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ওই সময় পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে জানানো হয়, চলতি বছর এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন এবং কারিগরিতে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়াও বিদেশে অবস্থিত আটটি কেন্দ্রে ৪৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন কেন্দ্রসচিব।
নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তত্ত্বীয় পরীক্ষা পয়লা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হবে।
‘আমরা আশা করি এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকলের নিকট আনন্দদায়ক ও উৎসবমুখর হবে’, বলেন মন্ত্রী।
ওই সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে সহিংস কর্মসূচি না দিতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আশা করি এবার ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনায় নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল এমন কোনো কর্মসূচি দেবে না, যাতে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা রাজনীতি করেন তারা তো জনগণের কল্যাণে কাজ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৮৬ জন। সূত্র:priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.