অনলাইন ডেস্ক :
প্রচণ্ড গরমে ঘরে বাইরে সবখানেই জীবন অতিষ্ঠ। গরম বাড়তেই ফের অধিকাংশ বাড়িতেই AC-র ব্যবহার বেড়েছে। অনেকেই গরম থেকে বাঁচতে নতুন এসি কিনেছেন। আবার কেউ কেউ পুরোনো এসি সংস্কার করে নিয়েছেন। তবে যান্ত্রিক বিভিন্ন কারণ ও অনেক দিন পর ব্যবহার করতে গেলে পুরোনো এসির ব্যবহার অথবা গ্যাস কম হওয়ার কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এসির গ্যাস। আর সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গ্যাস কমে যাওয়া। গ্যাসের মাধ্যমেই ঘর ঠান্ডা রাখার কাজটি করে। কিন্তু কোনও কারণে গ্যাসের পরিমাণ কম হলে ঘর ঠান্ডা হতে সমস্যা তৈরি হয়। উপযুক্ত টনের এসি থাকলেও সঠিক ভাবে ঘর ঠান্ডা হয় না।
এসির যে কোনো সমস্যা হোক সার্ভিসিং করাতে গেলে প্রায়ই একটি কথা শুনবেন এসির গ্যাস কমে গেছে। যার জন্য খরচ হয়ে যায় বেশ কিছু অর্থ। তবে নিজেই খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার এসির গ্যাস কমেছে কি না।
আসুন, জেনে নেই উপায়-
এয়ার কন্ডিশনারের ভেন্ট যদি ঠান্ডা বাতাস না দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে। আবার ভেন্ট থেকে যদি উষ্ণ বাতাস বেরোতে থাকে, তাহলেও তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে।
আপনার ঘরের তাপমাত্রা এমন কিছু বেশি নয়, এদিকে এসি আপনাকে এক ঘর, এক ঘর করে কমিয়েই যেতে হচ্ছে। তখন আপনার এয়ার কন্ডিশনারটি পরীক্ষা করা উচিত। গ্যাস কম থাকার ফলে এই কাণ্ড ঘটতে পারে।
আপনার বিদ্যুৎ বিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি এলে এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং করুন। গ্যাস লেভেল কমে যাওয়ার ফলেও এমনটা হতে পারে।
যদি রেফ্রিজারেন্ট লাইনারে বরফ জমা হতে শুরু করে, তাহলে আপনার এসিতে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। রেফ্রিজারেন্টের অভাবে তামার নলে বরফ জমে।
হিমায়িত বরফ যখন রেফ্রিজারেন্ট লাইনে গলতে শুরু করে, তখন জল আসতে শুরু করে। এ কারণে সামনের দিক থেকে পানি পড়তে শুরু করে মেঝেতে আসে। এমনটা এসির গ্যাসের সমস্যার কারণেও হতে পারে।
আপনার এসি যদি বুদবুদ বা হিসিং শব্দ করে, তাহলে তাতে রেফ্রিজারেন্ট কম আছে। এর মানে কোথাও একটি ফুটো আছে। সিস্টেমে ফুটো থাকলে আপনাকে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে। তা না হলে সেখান থেকে গ্যাস লিক হতে পারে।
You must be logged in to post a comment.