সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অধুনা / এসি কেনার আগে যা জানতে হবে

এসি কেনার আগে যা জানতে হবে

অনলাইন ডেস্ক :

দিন যতই যাচ্ছে গরমের তীব্রতা প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই এসি, এয়ার কুলার কেনার দিকে ঝুঁকছেন। এসি কেনার আগে কয়েকটি কথা মাথায় রাখা দরকার। এতে বিদ্যুতের খরচ কম হবে। সেই সঙ্গে এসি টেকসইও হবে।

এসি কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন-

ঘরের আকার: নতুন এসি কেনার সময় অবশ্যই ঘরের আকার বিবেচনা করুন। সাধারণত আপনার রুম যদি ১০০-১২০ স্কয়ার ফুট হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৫০ স্কয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, ১৫০-২০০ স্কয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন ক্ষমতার এসি আপনার ঘরের জন্য ভালো হবে। নাহলে এসির উপর চাপ পড়বে।

কত টনের এসি কিনবেন : এসি কিনতে গিয়ে প্রথমেই দোকানিরা জিজ্ঞেস করে, কত টনের এসি নিবেন? আসলে এই টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার, ১.৫ টন মানে হলো ১৮০০০ বিটিইউ/আওয়ার, এভাবে বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় রুম থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে। তার মানে যত বেশি টন মানের এসি; তত বেশি কুলিং ক্ষমতা।

কত টনের এসি কিনবেন, তাও নির্ণয়ের সময় রুমের আকার জানার পাশাপাশি রুমটি কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ দেয়ালের কোন পাশে লাগে, রুমে কতজন মানুষ থাকবে, রুমে কোন হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কিনা, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।

উইন্ডো নাকি স্প্লিট এসি : উইন্ডো এসির তুলনায় স্প্লিট এসি-তে অনেক বেশি বৈশিষ্ট্য থাকে। তবে স্প্লিট এসির দামও বেশি। স্প্লিট এসি যে কোনও ঘরে সহজেই লাগানো যায়। অন্যদিকে ঘরে উইন্ডো এসি বসাতে হলে জানালা থাকা দরকার। স্প্লিট এসি-তে, অনবোর্ড স্লিপিং, টার্বো কুলিং-সহ অনেক বৈশিষ্ট্য থাকে। এর কোনটি আপনার জন্য বেশি দরকার, সেটি প্রথমেই ভেবে নিন।

এয়ার ফিল্টারসহ এসি : এসি কেনার সময়ে দেখে নিন এতে এয়ার ফিল্টার আছে কি না। এই জাতীয় ফিল্টার থাকলে তা বেশি ভালো। অনেক এসি-তে গন্ধের ফিল্টার এবং অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ফিল্টারও থাকে। দাম বেশি হলেও এই সব ফিল্টারসহ এসি কিনলে বাড়তি সুবিধা পাবেন।

কনডেন্সার ও কম্প্রেসার দেখে কিনুন : পিওর কপারের তৈরি, কম ব্যাসের (৪-৭ মিলিমিটার), টিউবের ভেতর ফিন আছে এমন কনডেন্সার দেখে এসি কিনুন। সাধারণত অ্যালুমিনিয়ামের চেয়ে কপারের তৈরি কনডেন্সার ভালো। মোটা ব্যাসের সাধারণ টিউবের থেকে কম ব্যাসের ফিনযুক্ত কনডেন্সারের দক্ষতা বেশি। বলা হয়ে থাকে, কনডেন্সারের টিউবের সংখ্যা যত বেশি তত ভালো। কম্প্রেসারের গ্যরান্টি দেখে কিনুন, কারণ এটিই বেশি নষ্ট হয়।

ব্র্যান্ড : কোন ব্র্যান্ডের এসি কিনবেন সেটা অবশ্য আপনাকেই বের করতে হবে। আপনার বাজেটের মধ্যে কোন ব্র্যান্ডের এসি ভালো হবে এর জন্য বাজার যাচাই করুন। তবে দেশি-বিদেশি যে এসিই কিনুন না কেন উপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।

বাজেট : কম দামি অনেক এসি হয়ত আপনার নজর কাড়বে, তবে কেনার আগে ভালভাবে বিবেচনা করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কোন ব্র্যান্ডের এসি কেনা হবে, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে এসির মূল্য। ব্রান্ড, ধরন, ক্ষমতা এবং মানভেদে ১ টন এসির জন্য ৩০ হাজার টাকা ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১.৫ টন এসির জন্য ৩৩ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত হয়। ২.০ টন এসির জন্য ৪৩ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৩৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। ২.৫ টন এসির জন্য ৭০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে।

কোম্পানির রিভিউ : এসি কোম্পানির রিভিউ ও সুনামের দিকে অবশ্যই খেয়াল করবেন। মনে রাখবেন, যদি ভালো সার্ভিস দেওয়া কোম্পানি থেকে এসি না কিনে থাকেন তাহলে পরে প্রচুর বাড়তি খরচের আশঙ্কা থেকে যায়।

অন্যান্য : এসিতে এয়ার পিউরিফায়ার আছে কি-না দেখুন। এটা রুমে ধুলাবালিযুক্ত বাতাস ঢুকতে দেবে না। এসির অপারেটিং সিস্টেম কেমন দেখে নিন। অবশ্যই এসি কেনার আগে কোম্পানির সার্ভিস কতটা ভালো সেই বিষয়ে ভালো করে খোঁজ-খবর করে নেবেন। কারণ আফটার সেলস সার্ভিস যে কোন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জালালাবাদে ফখরুদ্দিন ফরাজীর অটোরিক্সা নির্বাচনী জরিপে এগিয়ে

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : প্রচার প্রচারণার শেষ মুহূর্তে জালালাবাদ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী (অটোরিক্সা ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/