সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / কক্সবাজারে ঈদের দিন পাষন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা

কক্সবাজারে ঈদের দিন পাষন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা

কক্সবাজারে ঈদের দিন পাষন্ড স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা

অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার দুর্ঘম ঈদগড়ে এক পাষন্ড স্বামী তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পবিত্র ঈদুল আযহার দিন বিকাল ৩ টায় ঈদগড় ইউনিয়নের বউঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত স্ত্রীর পিতা বাদী হয়ে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার জানা গেছে, রামু উপজেলার দুর্ঘম পাহাড়ী এলাকা ঈদগড় ইউনিয়নের বউঘাট এলাকার ইদ্রিছের ছেলে মো: হাশেম একই এলাকার ইসমাইলের মেয়ে তসলিমা আকতার (২৬) এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ বছর আগে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে একটি সন্তান ভূমিষ্ট হয়। পরে তসলিমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে। তসলিমা যৌতুক দিতে না পারায় তাকে শারিরিক ও মানসিকভাবে মারধর করতে থাকে। এ ঘটনা স্থানীয় চেযারম্যান ও মেম্বারকে একাধিক বিচারও দেয়া হয়।

সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদের দিন বাপের বাড়ি থেকে টাকা কেন আনে নাই বলে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে মুমুর্ষ অবস্থায় সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে পাষন্ড স্বামী কৌশল পাল্টিয়ে অসুস্থ হয়েছে বলে ব্যাটারী চালিত টমটম নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করার উদ্দোশ্যে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার পথে ঈদগাও পালপাড়া এলাকায় পৌছলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যাটারী চালিত টমটমগাড়ি পরিকল্পিতভাবে উল্টো দেয়। সেখান থেকে লোকজন তাদের উদ্বার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তসলিমাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এই কথা বলার সাথে সাথে ওই পাষন্ড স্বামী, টমটম চালক ও তার বাবা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার আবুল কাশেম টুলু রাত ২ টায় সদর হাসপাতালে গিয়ে লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য ব্যবস্থা করেন।

এ ঘটনায় নিহত তসলিমার পিতা বাদী হয়ে পাষন্ড স্বামী হাশেম, তার পিতা ইদ্রিছ, মা হাফেজা খাতুন, বোন মনজুন নাহার ও টমটম চালক হামিদুল ইসলামকে আসামী করে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

স্থানীয় মেম্বার আবুল কাশেম টুলু জানান, ঘটনা শোনার পর থেকে হাসপাতালে গিয়ে মহিলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ঘটনা অত্যান্ত বেধনাদায়ক। ইতিপূর্বে পাষন্ড স্বামীর বিরোদ্ধে একাধিক শালিসও হয়েছিল।

রামু থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, নিহত পিতার এজাহারের তদন্ত করার জন্য এলাকায় ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/