সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2022/05/Kazi-Nazurl-Islam.jpg?resize=540%2C302&ssl=1

অনলাইন ডেস্ক :

আজ (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০) একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী কবি, বিরহ-বেদনা ও সাম্যের কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে, ১৮৯৯) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম তার। শৈশব থেকে জীবনের তারুণে পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জীবনের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় নানা পেশায় জড়িয়েছেন তিনি। আঠার বছর বয়সে, অর্থাৎ ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীতেও যোগ দেন। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।

তিনি নাটক, সংগীত, উপন্যাস ও দর্শনেও বর্ণাঢ্য অবদান রেখেছেন। যা আলোকিত করেছে বাংলা সাহিত্যকে। এছাড়া সংগীতশিল্পী ও সম্পাদক পরিচয়েও পরিচিত। তবে এসবের আড়ালে হৃদয় দিয়ে নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের আর্তি অনুভব করেছিলেন তিনি। তাই তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখা তার সেসব কবিতা এখনো কোটি তরুণের রক্তে স্ফুলিঙ্গ জ্বালায়।

১৯২২ সালে ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশ করেন। মাত্র ২২ বছরের লেখক জীবনে প্রায় ৩ হাজার গান, অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প ও উপন্যাস লিখেছেন তিনি। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছিল তাঁকে।

কাজী নজরুল ইসলাম চির প্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী কিন্তু তাঁর প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?

সংগীত ও চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন কাজী নজরুল। তার পরিচালিত সিনেমা ‘ধ্রুব’তে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা বিশ্বের বিশাল এক প্রতিষ্ঠান এবং অভিধান।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। এরপর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বাংলাদেশেই বসবাস করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। বিদ্রোহী এ কবির ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ : নারী ভোটারদের উপস্থিতি : অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে ব্যাপক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/