নিজস্ব প্রতিনিধি; পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের কাজিবাজার থেকে অপহৃত এক লবণ ব্যবসায়ীকে প্রায় দু’ঘন্টা পর জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বাড়ি ফেরার পথে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা সিএনজি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে লবণ মাঠের একটি বাসাতে আটকিয়ে রাখে। এ সময় তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ওই দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে এলাকাবাসিরা জড়ো হয়ে ওই বাসাতে থেকে তাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৫ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বেদেরবিল পাড়া এলাকায়। অপহৃত লবণ ব্যবসায়ীর নাম মোছাদ্দেক (৪০)। তিনি ওই ইউনিয়নের কালারপাড়া এলাকার রমিজ আহমদের ছেলে। এ ঘটনার এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ মগনামা এলাকায় কানফুল বাহিনী নামে একটি গ্রুপের উত্থান হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে কাজি বাজারের দক্ষিন পাশে বলিরপাড়া, বেদেরবিল পাড়া ও শুদ্ধখালী পাড়ার দিদারুল ইসলাম, বলির পাড়ার আছহাব উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুর আলম, মাহমুদুল করিমের ছেলে সালাহ উদ্দিন, আব্দুল মোনাফের ছেলে ছাদেকসহ ১০-১৫জনের উঠতি বয়সের বখাটে ও উশৃঙ্খল যুবকরা বিশেষ এ বাহিনী গঠন করে। ওই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য ছেদন করে একটি কানে কানফুল লাগিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায় ওই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে বেদেরবিল পাড়া এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে দিদারুল ইসলাম। এ বাহিনীর অপতৎপরতা দক্ষিন মগনামার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, দখল-বেদখলেরমত অহরহ ঘটনা ঘটছে মগনামার দক্ষিণ অংশে। গত কিছুদিন আগে দক্ষিণ মগনামা এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়েছে কানফুল বাহিনীর কারনে।
স্থানীয়রা জানায় ওইদিন ব্যবসায়ী মোছাদ্দেক কাজি বাজার থেকে সিএনজি যোগে নিজবাড়ি কালারপাড়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কইড়াবাজার-কাজিবাজার সড়কের বেদেরবিল পাড়া কালভার্ট সংলগ্ন নির্জন স্থান থেকে তাকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। শাহজাহান, আব্দু ছালাম, নুরুল হাকিম, রবিসহ স্থানীয়রা জানায় আমরা খবর পেয়ে রাতে মোছাদ্দেককে লবণ মাঠের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করি। তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কানফুল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এর আগে তার ভাই শফিউল আলমকেও একইভাবে অপহরন করার চেষ্টা করছে। ভিকটিম মোছাদ্দেক জানায় সিএনজি থেকে টানা হেচঁড়া করে নিয়ে যায়। একটি বাসাতে আটকিয়ে মারধর করে নগদ ৩৫হাজার টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে যায় কানফুল বাহিনীর সদস্যরা। এ বাহিনীর কারনে এলাকায় ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওই বাহিনীর সদস্যদের লালন পালন করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানায় বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেছি। স্থানীয়রা একটি বাসা থেকে মোছাদ্দেককে উদ্ধার করে। একটি উশৃঙ্খল গ্রুপ দক্ষিণ মগনামায় তৈরি হয়েছে। তাদের প্রত্যেক সদস্যদের কান ছেদন করা। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানায় রাতে বিষয়টি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
You must be logged in to post a comment.