বিভিন্ন কারণে জয়েন্ট-এ ব্যথা হতে পারে। যেমন- অস্টিও আরথ্রাইটিস, রিউমেটিক আরথ্রাইটিস, রগে টান পরা ও জয়েন্ট এর আশেপাশের লিগামেন্টে আঘাত পেলে। শরীরের যে কোন অংশের জয়েন্টেই ব্যথা হতে পারে, তবে হাঁটুতে-কাঁধে ও কোমরে বেশি হয়ে থাকে। এই ব্যথা মাঝারি থেকে প্রচণ্ড হতে পারে। ব্যথার সাথে সাথে ওই স্থানটি লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ও শক্ত হয়ে যাওয়া এই লক্ষণগুলোও থাকতে পারে। প্রচণ্ড ব্যথা থাকলে ও ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ব্যথা কম থাকলে কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে সারানো যায়। এবার তাহলে জেনে নিই সেই উপায় গুলো কী কী।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন এ অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা অস্থিসন্ধির ব্যাথায় চমত্কার কাজ করে। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক চামুচ হলুদ গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে খান যতদিন না ব্যথা ভালো হয়।
গাজর
চীন দেশে বহুদিন যাবত জয়েন্ট-এর ব্যথায় গাজর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একটা গাজর ছোট করে কেটে নিন, এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। গাজর লিগামেন্ট-এর উপর কাজ করে ব্যথা কমায়।
টিপস:
১। অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না
২। শরীর নাড়াচাড়া করুন
৩। দেহের ভঙ্গি ঠিক করুন। অনেক সময় ভুল ভঙ্গিতে বসলে বা শুলে ব্যথা হতে পারে
৪। বেশি ওজনের কিছু বহন করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে বহন করুন
৫। শরীরের কথা শুনুন। ব্যথা অনুভব করলে অবহেলা করবেন না।
৬। বিশ্রাম নিন
৭। একই অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না
৮। আস্তে আস্তে শুরু করুন ব্যায়াম
৯। সাহায্য নিন
১০। ভারী কিছু উঠাতে দুই হাত ব্যবহার করুন
১১। ব্যথা হলে তেল দিয়ে জয়েন্টে ম্যাসাজ করুন
১২। বেশি করে পানি খান
১৩। পেঁয়াজের সালফার ব্যথা উপশম করতে পারে। বেশি করে পেঁয়াজ খান
১৪। গরম ও ঠাণ্ডা পানির ভাপ নিতে পারেন।
সতর্কতা :
– আক্রান্ত স্থান লাল হলে গরম থেরাপি নেয়া জাবেনা, সংবহন তন্ত্রের সমস্যা থাকলে ঠাণ্ডা থেরাপি নেয়া যাবেনা।
– যাদের গল ব্লাডার এর সমস্যা আছে এবং যারা রক্তের কোন সমস্যার জন্য ঔষধ খাচ্ছেন তাঁরা ডাক্তারের সাথে কথাবলে হলুদ খাবেন।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.