সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / তথ্য ও প্রযুক্তি / কী কাজে লাগবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট?

কী কাজে লাগবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট?

বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মহাকাশ পানে সফল উৎক্ষেপণের ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদেশি স্যাটেলাইট নির্ভরতা কাটিয়ে সম্প্রচার ও যোগাযোগ সেবা মেটানো সম্ভব হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর স্বপ্নের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মহাকাশ পানে ছুটে চললো বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১। যার মধ্য দিয়ে মহাকাশে অংশীদারিত্ব নিশ্চিতের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করলো লাল-সবুজের বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মাধ্যমে সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগ সেবা মিলবে। বিদেশি স্যাটেলাইটের নির্ভরতা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই সম্ভব হবে দেশের রেডিও স্টেশন ও টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামসুল কাওনাইন বলেন, ‘এখানে যে ট্রান্সপন্ডারগুলো আছে সেগুলো আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করত পারবো। আমাদের যেহেতু স্যাটেলাইট ছিলো না তাই অন্য কারোটা ব্যবহার করছিলাম। এখন আমরা নিজেদেরটা কিছুটা ব্যবহার করতে পারবো।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া যাবে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। যার ব্যবহারে গতি আসবে দুর্গম অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আর সমুদ্রসীমায় নিজস্ব নজরদারিতে ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এএসএম মকসুদ কামাল বলেন, ‘দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে সংকট অতিতে ছিলো, দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে আমরা সেখানে বহুলাংশে সফল হবো।’

বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বলেন, ‘আমরা যে বিশাল সমুদ্রসীমা পেয়েছি ওই সমুদ্রসীমাতেও কিন্তু আমাদের এই স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট আছে। ওইখানে আমাদের নৌবাহিনীর যে জাহাজগুলো চলাচল করবে আমরা তাদেরও নিরাপদ রাখতে পারবো।’

৪০ ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৪০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ। যার মধ্যে ২০ ট্রান্সপন্ডার ব্যবহার হবে নিজেদের প্রয়োজনে। বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে অর্জন হবে বৈদেশিক মুদ্রা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাণিজ্যিক এ সম্ভাবনা কাজে লাগতে প্রয়োজন নিজেদের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খলিলুর রহমান বলেন, ‘তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে আমরা স্যাটেলাইট তৈরি করলাম। একটা দায়বদ্ধতাও কিন্তু আমাদের চলে আসলো যে, এই টাকাটার সদ্ব্যবহার যেনো হয়। আমাদের যে এজেন্সি আছে তারা এই বিপণন ব্যবস্থাটা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের বুকে নিজেদের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সৃষ্টি করবে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত। আর তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।

সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/