সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / সাংস্কৃতিক ও বিনোদন / ‘ক্যাপ্টেন খান মশলাদার ছবি, অ্যাকশন-রোমান্স সবই আছে’

‘ক্যাপ্টেন খান মশলাদার ছবি, অ্যাকশন-রোমান্স সবই আছে’

শবনম বুবলী।

শবনম বুবলীর ক্যারিয়ারে শাকিব খান যেন পরশ পাথর। এখন পর্যন্ত তারা সাতটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রত্যেকটি ছবিই ছিল দর্শক বিবেচনায়। কয়েকটি পেয়েছে ‘বাণিজ্যিক সফলতা’। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে ‘ক্যাপ্টেন খান’। ছবিটির বাণিজ্যিক দিক থেকে বেশ সফল হবে বলে মনে করছেন বুবলী।

গত কয়েকটি ঈদে ছবি মুক্তির আগে প্রচারের জন্য বেশ সময় পেয়েছেন। এবার খুব একটা পাননি। কারণ ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির দুটি গানের শুটিং বাকি ছিল। থাইল্যান্ডে গিয়ে টানা (৭-১৬ আগস্ট) কাজ করেছেন। এরপর দেশে ফিরেছেন। যতটুকু সময় পেয়েছেন পত্রিকা, টেলিভিশন ও ফেসবুকে ছবির প্রচারে কাজ করছেন।

‘টানা কাজ করে চলছেন, একঘেয়ে লাগে না’ এমন প্রশ্নে বুবলী বলেন, ‘পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই একটা ছকে বাঁধা জীবন হয়ে গেছে। খুব একটা বিরতি কিংবা নিজেকে সময় দেওয়া কখনো হয়নি। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় টানা কাজ না করি। নিজেকে একটু সময় দিই। নতুন কাজের জন্য আলাদাভাবে একটু গোছানো উচিত। একটা বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন, গত তিন বছরে আমার ছবির সংখ্যা খুবই কম। আমার সাত নাম্বার ছবি এ ঈদে মুক্তি পাবে। কারণ পরিকল্পনার বাইরে আমি কাজ করি না।’

ইন্ডাস্ট্রিতে যে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সংকটের কথা শোনা যায়, তারমধ্যে দুটি হলো–ভালো মানের শিল্পীর পাশাপাশি চিত্রনাট্য কিংবা গল্পের সংকট। এ বিষয়ে বুবলীর ভাষ্য, ‘যদি বলি ইন্ডাস্ট্রিতে শিল্পী নেই, তাহলে জানি না, কতটুকু সত্য বলা হলো। যারা কাজ করছে কিংবা যারা একটু বিরতিতে আছে, তাদেরকে কাজে লাগানো উচিত। ভালো গল্পের বেশ সংকট আছে। যখন আমি কোনো ভালো গল্প শুনি কিংবা আলাপচারিতায় জানি তখন কিন্তু আমার ভীষণ লোভ হয়। আমার তখন মনে হয় আমি যদি গল্পগুলো পেতাম।’

‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির গল্প বলার ঢংয়ে কতটা ভিন্নতা আছে? জানতে চাইলে বুবলী বলেন, ‘আমি কিন্তু সব সময় গল্প নির্ভর ছবিতে কাজ করতে চাই। যাতে নিজেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পাই। হয়তো আমরা ওভাবে ভালো কাজ পাচ্ছি না। অল্প সময়ে কোনো শিল্পীকেও বিচার করা উচিত নয়। ভালো কাজের সুযোগ তো হরহামেশাই ঘটে না।’

বুবলী বলেন, ‘আমার বাকি যে ছয়টা ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো থেকে এ ছবির চরিত্রটা বেশ ভিন্ন। লোকেশন কিংবা অন্যান্য কিছু বিষয়ে চিত্রনাট্যের কারণে উপস্থাপনটাও বেশ ভালো হয়েছে। দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার মতো ছবি ক্যাপ্টেন খান। নিজেকে ভেঙে কিংবা চেঞ্জ করার বিষয়টি কিন্তু গল্প থেকে আসবে। সে দিকটা তো খুব একটা পাওয়া যায় না। নির্মাতা, ভালো গল্প ও শিল্পী। তিনটি দিক মিলিয়েই কিন্তু ভালো কিছু হয়।’

শুটিংয়ের আগে আপনি যে চিত্রনাট্য পেয়েছিলেন, শুটিং শেষ হওয়ার পর কী মনে হয়েছে? কতটা তুলে ধরতে পেরেছেন নিজেকে? জানতে চাইলে বুবলী জানান, ডাবিংয়ের সময় তিনি পুরো ছবিটা দেখার সময় পাননি। এ ছাড়া টানা শুটিংও ছিল। তবে তিনি শুধু তার অংশেরটা দেখেছেন।

তাতে বুবলীর মত, ‘দর্শক একটা মশলাদার ছবি দেখতে পারবে। অ্যাকশন, রোমান্স সবাই আছে। ভালো অ্যারেঞ্জমেন্টের একটা ছবি।’

চিত্রনাট্যে আপনার চরিত্র স্বাধীনভাবে সাজানোর ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন–এমন প্রশ্নে শবনম বুবলী বলেন ‘আমাদের সমাজব্যবস্থাটা পুরুষতান্ত্রিক। তার প্রভাব কিংবা সবদিক পড়েছে। যার কারণে চিত্রনাট্যগুলোও ৯৯ ভাগ সময় ওভাবেই লেখা হয়। পর্দায়ও দর্শক হিরোইজম দেখতে চায়। এ কারণে হিরো বেইজড ছবি নির্মাণ হয়। বিষয়টা আসলে পরিচালক ও প্রযোজকের ওপর নির্ভর করে। তারপরও আমি চাই নারীপ্রধান গল্পে যদি নিজেকে ওভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ থাকে। তাহলে করব।’

অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রশংসা ও সমালোচনা দুটিই সমানতালে কুড়িয়েছেন বুবলী। শুরুর দিকে সমালোচনা কিংবা গসিপিং শুনলে মন খারাপ হতো। তবে এখন এটাকে পেশার অংশ হিসেবে মনে করেন। যার কারণে গঠনমূলক সমালোচনা না হলে খুব একটা গায়ে মাখেন না।

বুবলী বলেন, ‘যখন আমি গঠনমূলক সমালোচনা শুনি, তখন বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করি। একটা কাজের ভালো ও মন্দ দিক দুটোই থাকবে। কোনো একটা কাজে খালি ভালো দিক থাকবে তা হয় না। আবার শুধু খারাপ দিক থাকবে তাও হয় না। যখন সমালোচনা গঠনমূলক আকারে আসে তখন গুরুত্ব সহকারে নিই। যারা গঠনমূলকভাবে আমার কাজের সমালোচনা করে তখন নিজেকে সেখান থেকে নিয়ে পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করার চেষ্টা করি।’

গত তিন বছরে বুবলীর জীবনে অনেক পরির্বতন এসেছে। ব্যক্তিজীবন নিয়ে এখন কী ভাবেন বুবলী?

‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির এই নায়িকা বললেন, ‘আগে যখন বিভিন্ন গুজব শুনতাম তখন মন খারাপ হতো। তখন মনে হতো ইচ্ছে করে খুব প্রতিবাদ করব। সত্যিটা বলে দেবো। সময়ের খাতিরে বুঝতে শিখছি এই জায়গাটায় এমনই হবে। ওই বিষয়গুলো মাথায় রাখা যাবে না। নিজের কাজটাই করে যেতে হবে। ফোকাস্ড হতে হবে ক্যারিয়ারের প্রতি। ওসব একটা সময় গিয়ে সময়ের খাতায় মিলে যাবে। কিন্তু কাজটাই থেকে যাবে।’

সূত্র:মিঠু হালদার-priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/10/Entertainment-Mozib.jpg

মুক্তির অপেক্ষায় ‘মুজিব’

  অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/