দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির অজুহাতে এবার ঈদগাঁওতে ফের বাড়ানো হয়েছে পানের খিলির দাম। কোন কোন দোকানে ইতোমধ্যে দাম আদায়ও করছে। বাস্তবে পান ও পান সামগ্রী তথা দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি না হলেও ঠুনকো অজুহাতে খিলিপানের দাম বৃদ্ধি করায় সাধারণ পান খেকোদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য মতে, পান মানুষের জীবন যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ। বিশেষ করে যারা পানে আসক্ত তাদের জন্য পান অন্য অনেক কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত তিন বেলা খাওয়া দাওয়া ও চা-নাস্তা করার পর লোকজন পান খেয়ে থাকেন।
এছাড়া বিয়ে, গায়ে হলুদ, কুলখানী সহ যে কোন ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও অন্য আনুষ্ঠানিকতার ক্ষেত্রে পান পরিবেশনের রীতি রয়েছে বহুদিন যাবৎ। বলা বাহুল্য যে, পান না হলে যেন বাঙ্গালীর চলেই না। সাধারণের কাছে চাহিদা আছে বিধায় বাজারে যত্রতত্র গড়ে উঠছে পান দোকান। দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও খিলি পানের দাম বরাবরই উর্ধ্বমূখী। এক টাকা থেকে প্রথমে তিন টাকা, পরবর্তীতে চার টাকা, তারপর পাঁচ টাকায় উত্তীর্ণ হয়। এবার তাতে বর্তমানে ছয় টাকায় গড়িয়েছে খিলি পানের দাম। অথচ পান ও সুপারির বাজার এখনো তেমন অস্থির নয়। নৈরাজ্য না থাকা সত্তেও সুবিধাবাদী ও মুনাফালোভী পান দোকানীরা হঠাৎ করে খিলি পানের দাম কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে বাড়িয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে বাজারে অবস্থানরত কিংবা গ্রামাঞ্চলের পানখেকোদের মাঝে ফের সমালোচনা উঠেছে। কিছুদিন পূর্বে যে পান প্রতি খিলি ৪/৫ টাকা বিক্রি করা হত, এখন তা ৫/৬ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বর্ধিত দাম সকল দোকানে এখনো কার্যকর হয়নি। যেসব দোকানে খিলি পানের গ্রাহক বেশি, সুযোগ বুঝে সেসব দোকানীরা ছয় টাকা হারে খিলি পান বিক্রি করছে। পানের দাম আকস্মিক ও মনগড়া বৃদ্ধি করায় পান ভোজনকারীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনকি জনবহুল কোন স্থানে কিংবা চায়ের দোকানে এ নিয়ে বেশ কথা চলছে। অনেকে মান সম্মানের ভয়ে উচ্চবাচ্য না করে বর্ধিত দাম সহ মূল্য পরিশোধ করে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ মৃদু প্রতিবাদ ও করছেন।
এ ব্যাপারে নিউ মার্কেটের এক পান ব্যবসায়ীর মতে, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করায় পানের দাম খিলি প্রতি ছয় টাকা নেয়া হচ্ছে। অথচ একই মার্কেটের অপর পান বিতানে এখনো পাঁচ টাকা করে পান বিক্রি করতে দেখা গেছে। পান খেকোদের অভিযোগ, বাজারে যে যেমন ইচ্ছা মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পণ্য বা মালামালের গুণগত মান যাই থাকুক না কেন কয়েকজন দোকানদার মিলে সিন্ডিকেট গঠন করে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে ভোক্তা সাধারণের উপর। কিছু গজের ব্যবধানে দু’ব্যবসায়ীকে একই পণ্যের দাম দু’রকম নিতে দেখা যাচ্ছে। যেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হলেও এ ব্যাপারে তাদের নেই মাথা ব্যাথা। তবে সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও বাজারে পানখেকোদের সুবিধার্থে খিলি পানের দাম বৃদ্ধি না করে পূর্বের দাম বহাল রাখার দাবী জানান তারা।
You must be logged in to post a comment.