সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / খুব শীঘ্রই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে টেকনাফে জেলা প্রশাসক

খুব শীঘ্রই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে টেকনাফে জেলা প্রশাসক


গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে দ্রুত প্রত্যাবাসন করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলছে, এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকারের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

কিন্তু আন্তজার্তিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। সেদেশ নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি বিরল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।’

২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী স্থানীয় জনগণের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্যে রাখেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাই কমিশনার কেলি টি ক্লিমেটস, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সেক্টর লীড রাইয়ান বেলাজু ও কো-অর্ডিটের তৃষ্ণা দাজেল প্রমুখ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিজন বয়স্ককে ৬ হাজার ও প্রতিবন্ধীকে ৮ হাজার ৪০০ টাকা করে মোট ৫০০জনকে এক বছরের নগদ টাকা বিতরণ করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে সরকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে এই প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি তৈরী করেছে মিয়ানমার। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে না, ততদিন স্থানীয়রা তাদের মানবিকতা দেখিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। তিনি বলেন, কিছু এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপকর্মে জড়িত এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাছাড়া সরকার তাদের কঠোর নজরদারিতে রেখেছে। ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাই কমিশনার কেলি টি ক্লিমেটস বলেন, আগের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। বিপুল সংখ্যা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগীতা করার জন্য এই অঞ্চলের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি স্থানীয়দের সহায়তা দিতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। ধারাবাহিক ভাবে আরো ১৭ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি সকালে টেকনাফ নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গ্যাস বিতরণ কেন্দ্র, আর্দশ বিদ্যাপীঠ ও শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/