সাম্প্রতিক....

গনোরিয়া

এটা নাইসেরিয়া গনোরিয়া (Nersserra gonorrhoea) নামক একটা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত একটি যৌনবাহিত রোগ। সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।

লক্ষণ ও উপসর্গ

পুরুষের ক্ষেত্রে

তাৎক্ষণিক
মূত্রনালিতে সংক্রমণ
মূত্রনালি হতে পুঁজের মত বের হয়
মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালা-পোড়া করে
অনেক সময় লক্ষণগুলো খুব মৃদু কিংবা নাও হতে পারে.

বিলম্বে

হাটু বা অন্যান্য সন্ধিস্থলে ব্যথা করে, ফুলে ওঠে
প্রসাব করতে প্রচন্ড কষ্ট হয় এবং অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়
পুরুষত্বহীন হয়ে যেতে পারে

এছাড়াও

সমকামী পুরুদের বেলায় পাযুপথে সংক্রমণ হতে পারে

মহিলাদের ক্ষেত্রে

তাৎক্ষণিক-মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিপথ
পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়
যোনিপথে এবং মূত্রনালিতে জ্বালা-পোড়া করে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনো লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে

বিলম্বে

তলপেটে ব্যথা হতে পারে
ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়
বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে

এছাড়া-
গর্ভবতী মহিলাদের গনোরিয়া থাকলে প্রসবের আগেই তার চিকিৎসা করা উচিত। অন্যথায় শিশুর চোখে সংক্রমণ ঘটে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
গনোরিয়া হয়েছে কিনা তা কিভাবে জানা যায়
রোগীর ইতিহাস শুনে রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করেই কেবল রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
সংক্রমিত এলাকা থেকে রস সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর গনোরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেলে গনোরিয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

প্রতিরোধ:

বহুগামিতা পরিহার
পতিতাবৃত্তির অবসান
ধর্মীয় অনুশাসনে জীবন যাপন
সংযত যৌনাচার
যথোপযুক্ত প্রতিরোধ সহকারে যৌন মিলন করা

চিকিৎসা:
গনোরিয়ায় উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে যথোপযুক্ত চিকিৎসার জন্য সাথে সাথে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া দরকার। গনোরিয়ায় আক্রান্ত হবার পর যদি স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন করে থাকে তবে স্ত্রীরও চিকিৎসা দরকার। কারণ স্ত্রীর মধ্যে লক্ষণ দেখা না গেলেও তার দেহে রোগ সংক্রামিত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। স্ত্রীর চিকিৎসা না করালে স্বামী রোগমুক্ত হবার পর স্ত্রীর কাছ থেকে আবার সংক্রামিত হতে পারে। মায়ের গনোরিয়া থেকে শিশু যাতে অন্ধ হয়ে না যায় সে জন্যে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্ভব হলে গর্ভবতী প্রতিটি মা’কেই গনোরিয়ার পরীক্ষা করানো দরকার।

সূত্র: healthtalkbd.org – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র#https://coxview.com/sarai-hospital-rafiq-14-11-23/

জনবল সংকটে ৪ বছরেও চালু হয়নি সরই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

বান্দরবানের লামার ‘সরই ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’। মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম পার্বত্য ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/