পিতামাতারা লক্ষ্য করুন – যদি আপনার সন্তান আঙ্গুল গুনে গুনে হিসাব করে তাহলে সে বেশি স্মার্ট – এমনটাই জানিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। এই গবেষণায় তারা জেনেছেন, যে শিশুরা গণনার কাজে হাতের ব্যবহার করে তারা অন্যদের তুলনায় গণিতে বেশি দক্ষ হয়।
ফিঙ্গার পারসেপশন বা আঙ্গুলের উপলব্ধি পার্থক্য বুঝতে পারার ক্ষমতা, নাম অথবা আঙ্গুলগুলোকে চিনতে পারার সাথে গণিতের দক্ষতার সম্পর্ক বিদ্যমান। এমনকি যখন মানুষ হাতে সংখ্যা গুনে না তখনও মস্তিষ্কের আঙ্গুলের সাথে সম্পর্কিত অংশটি সক্রিয় থাকে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
গাণিতিক কাজ করার সময় মন কীভাবে কাজ করে তা বিশ্লেষণের জন্য আমেরিকার গ্যালাউডেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইলারিয়া বারটেলেটি এবং তার সহকর্মীরা ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সের ৩৯ জন শিশুর মস্তিষ্কের স্ক্যান করেন যখন তারা মনে মনে বিয়োগ এবং একক সংখ্যার গুণ করছিলো।
স্ক্যানে দেখা যায় যে, মস্তিষ্কের দুটি অঞ্চল আঙ্গুলের সাথে সম্পর্কিত, একটিকে সোমাটোসেন্সরি অঞ্চল বলে যা তাপ, চাপ বা ব্যথার অনুভুতিতে সাড়া দেয় এবং অন্যটিকে মস্তিষ্কের মোটর অঞ্চল বলে যা চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।
বিয়োগ করার সময় মস্তিষ্কের এই উভয় অঞ্চলই সক্রিয় ছিলো। এমনকি শিশুরা যখন উত্তরে পৌঁছানোর জন্য তাদের আঙ্গুল ব্যবহার করেনি তখনও তারা সক্রিয় ছিলো।
গুণ করার সময় মস্তিষ্কের সক্রিয়তা একই রকম ছিলো না, একে গবেষকেরা শিশুরা কীভাবে বিয়োগ শিখছে ও গুণ শিখছে তার প্রতিফলন ব্যাখ্যা করার জন্য বলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় এটি।
বারটেলেটি বলেন, আপনি সম্ভবত আঙ্গুলের ব্যবহারের মাধ্যমে বিয়োগ করা শিখেছেন। গুণ করার সময় মুখে মুখে বলা বা মুখস্থ করেছেন। এটা আমাদের জন্য একটি প্রমাণ যে, দুই ধরনের কাজের জন্যই আমাদেরকে ভিন্ন নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করতে হয়।
গবেষকেরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে, আঙ্গুল চিনতে পারা শিশুদের অংকে ভালো করতে পারে কি না অথবা আঙ্গুল ব্যবহার করে অংক করলে আঙ্গুল চিনতে সাহায্য করে কি না।
যদিও তারা নিশ্চিত যে, যে শিশুদের আঙ্গুলের উপলব্ধি বেশি তাদের গণিতে দক্ষ হওয়ার প্রবণতা বেশি।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.