মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ চলে যাওয়ার তিনদিন অতিবাহিত হলেও বিদ্যুতের দেখা মিলছেনা কক্সবাজারের চকরিয়ায়। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে রোগী, শিক্ষার্থী, বাসাবাড়ির লোকজনসহ সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে শিশু ও বৃদ্ধরা রয়েছে চরম কষ্টে। এছাড়া টানা বিদ্যুৎ না থাকায় নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র, কষ্টে আছে পানি নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরশহরে ১টি সরকারী হাসপাতাল, ৮টি বেসরকারী হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, থানা, স্কুল-কলেজ, ব্যাংক, বীমাসহ নানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু চারদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় এসব প্রতিষ্টানের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যাপসা গরম ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সাধারণ মানুষ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। কিন্তু তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে ভর্তিরত রোগিরা হাফিয়ে উঠেছে। এতে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ির লোকজন পানি নিয়ে চরম কষ্টে রয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধাদের অবস্থা আরো করুণ হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র।
পৌরশহরের সবুজবাগের বাসিন্দা খুরশিদ জাহান বলেন, তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। পানি নিয়ে বড় বিপদে আছি। অনেক দুর থেকে পানি এনে রান্না-বান্নার কাজ সারলেও গোসল করতে পারছিনা তিনদিন ধরে। এমনকি ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি এ প্রতিবেদককে উল্টো করুণার সুরে বলেন, ভাই কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পাবো। একটু আরি সাহেবকে একটু বলেননা তাড়াতাড়ি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে।
চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল আলম বলেন, পেট ব্যাথা নিয়ে দুইদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্টে রয়েছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পিডিবি’র চকরিয়ার আবাসিক প্রকৌশলী ফয়জুল আলিম আলো বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে চকরিয়া পৌরশহরে বেশ কিছু বিদ্যুতিক খুটি পড়ে গেছে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারির ৩৩ হাজার কেভির সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। শীঘ্রই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
পিডিবি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। আশা করি ২৪ ঘন্টার মধ্যে চকরিয়া ও লামাতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হবে।
You must be logged in to post a comment.