সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / চকরিয়ায় অপহরণের ২০ ঘন্টা পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত মিললো তিন শ্রমিকের

চকরিয়ায় অপহরণের ২০ ঘন্টা পর মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত মিললো তিন শ্রমিকের

Kidnapping

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিনটি বসতবাড়ীতে ডাকাতি পরবর্তী তিন শ্রমিককে অপহরণের ২০ ঘন্টা পর ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে তারা।

সোমবার ভোর রাত ২টার দিকে অপহরণের পর দিবাগত রাত ১০ টার দিকে মুক্তিপণ পাওয়ার পর চোখ বেঁধে পাহাড়ে ছেড়ে দিলে মুক্তি পায় শ্রমিকরা।

মুক্তি পাওয়া শ্রমিকরা হলেন- কবির হোসেনের ছেলে জিয়াবুল ইসলাম (২৬), রমজান আলীর ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও মিলন মুন্সির ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৬)। তবে পুলিশ দাবী করেছে চতুর্মূখী অভিযানের প্রেক্ষিতে অবস্থা বেগতিক দেখে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, অপহৃত তিনজনকে রাত ১০ টায় নয়া অফিসের নিকটবর্তী অরণ্যে ঘেরা পাহাড় থেকে নিয়ে এসেছে তাদের আত্মীয়রা। জানতে পেরেছি রাত ৯টায় দাবীকৃত ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষির পর ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা পাহাড়ে রেখে আসে পরিবার সদস্যরা। এই টাকা রেখে আসার ঘন্টা খানেক পর রাত ১০ টার দিকে চোখ বেঁধে তাদের ছেড়ে দিলে আত্মীয়রা পাহাড়ে গিয়ে নিয়ে আসে তিনজনকে।

গত সোমবার ভোর রাত ২ টার দিকে ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত ডুলাহাজারাস্থ ভিলেজার পাড়ায় কবির হোসেনের কুলিং কর্ণার ঘেরাও করে এবং ফুটবল খেলা দেখারত ৭জন টিভি দর্শককে জিম্মি করে। পাশাপাশি ওই দোকান লাগোয়া তিনটি বসত বাড়ি ডাকাতি করে। পরে ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় দোকানে জিম্মি করে রাখা ৭ জনের মধ্যে তিনজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এদিন রাত ১০ টায় মুক্তি পাওয়ার পর তিন শ্রমিক বলেন, আমরা জীবিত ফিরে আসতে পারবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা বলতে পারছি না।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো:জহিরুল ইসলাম খান জানান, অপহরণকারীদের কোন মুক্তিপণ দেয়া হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম ঝটিকা অভিযান শুরু করলে দুর্বৃত্তরা অপহৃত তিন শ্রমিককে ছেড়ে দিয়ে নিজেরা গা ঢাকা দেয়।

তিনি আরো বলেন, পুরো ঘটনার ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তরা লিখিত এজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চকরিয়ার ডুলাহাজারা ও খুটাখালী থেকে গত ১ বছরে বিভিন্ন পেশার ১৯জনকে অপহরণ করা হয়। সবাইকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনে তাদের স্বজনরা। প্রাণ খোয়ানোর ভয়ে অপহরণের শিকার বেশিরভাগ লোক মুক্তি পাওয়ার পরও আইনের আশ্রয় নেয়নি। ফলে, পাহাড় ঘেষা এই এলাকায় অপহরণ এখন অনৈতিক বাণিজ্যে রুপ পেয়েছে। এসব ঘটনা পুলিশ অবহিত হলেও অভিযোগ না পাওয়ার অজুহাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অপরাধ প্রবণতা ফি দিন বাড়ছে, শংকিত দিনযাপন করছেন লোকজন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ : নারী ভোটারদের উপস্থিতি : অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে ব্যাপক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/