সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / চকরিয়ায় কাজের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

চকরিয়ায় কাজের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

চকরিয়ায় কাজের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কাজের মেয়েকে বিয়ের করার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের পর ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে গৃহকর্তা ছেলের বিরুদ্ধে । ধর্ষণের শিকার কাজের মেয়ে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে গৃহকর্তার ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ (৩৪)কে চিরিঙ্গা পুরাতন বাস স্টেশনস্থ একটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পারভেজ।

থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার দিনমজুর আবদুল করিমের বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী এক কন্যাকে প্রায় দুই বছর ধরে গৃহপরিচারিকা হিসেবে দেয় মৃত মোহাম্মদ নুরুর বাড়িতে। সেখানে কর্মরত অবস্থায় চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী রাত একটার দিকে গৃহকর্তার বড় ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ (৩৪) বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পর থেকে প্রতিনিয়ত দুইজনের মধ্যে দৈহিক মেলামেশা চলে। দুইমাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই গৃহপরিচারিকা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়াসহ সার্বিক ঘটনা পরবর্তীতে মা ও বাবাকে জানালেও দরিদ্র পরিবার হওয়ায় বিষয়টি এতদিন তারাও কাউকে বলার সাহস পায়নি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ওই মেয়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শারিরিকভাবে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিলে নানা গুঞ্জন শুরু হয় এলাকার মানুষের মাঝে। মূলত এরপর থেকেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

ধর্ষণের শিকার গৃহপরিচারিকার বাবা আবদুল করিম বলেন, ঘটনা জানাজানির পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে পারভেজ ও তার পরিবার সদস্যদের কাছ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাইতে গেলে উল্টো আমাদেরকে ধমক দেয়। এমনকি এ সময় পারভেজ ও তার ছোট ভাই রুবেজ (২৭) আমি এবং অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত লম্পট পারভেজকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ এবং নিয়মানুযায়ী ধর্ষণের শিকার গৃহপরিচারিকাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/