মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিংড়িজোন খ্যাত চরণদ্বীপ এলাকায় ঘের দখল নিয়ে টানা দুইদিন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অতঃপর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশের একাধিক টিম ঝটিকা অভিযান চালায়। এসময় সশস্ত্র ২০-২৫জন সন্ত্রাসী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চিংড়ি ঘেরে পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় দেশীয় তৈরী দুইটি একনলা বন্দুক ও ১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ।
এলাকাবাসী জানায়, চরণদ্বীপ এলাকার কয়েকটি চিংড়িঘের দখল করতে সশস্ত্রবাহিনী দুইদিন ধরে চেষ্টা চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খান, পুলিশ পরিদর্শক কামরুল আজম, অপারেশন অফিসার তানভীর আহমেদ, এসআই মোঃ আলমগীর, এসআই সুকান্ত চৌধুরী, এসআই আবদুল খালেক ও এসআই মাজেদুল ইসলাম ২০ সদস্যের পুলিশ দলকে পৃথক টিমে বিভক্ত করে ঝটিকা অভিযান চালায়।
এসআই আলমগীর বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২০-২৫জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। একজন নিজ ঘরে লুকিয়ে থাকে। জনতার সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এসময় গণপিটুনিতে সে আহত হয়। আটক সন্ত্রাসী আবুল কালাম প্রকাশ কালু (৩০) চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ চরণদ্বীপ ডোলখালী এলাকার শামশুল আলমের ছেলে। তার বাড়ী থেকে ১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়। তাকে আটকের পর কতিপয় ব্যক্তি ঝড়ো হয়ে উত্তেজনা ছড়াতে চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অস্ত্রসহ আটক আহত সন্ত্রাসীকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বন্দুকসহ আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
You must be logged in to post a comment.