চকরিয়ায় দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে বাউন্ডারী ওয়াল গুঁড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ : ছাত্রলীগ নেতার দাবী ঘটনাটি সাজানো

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দাবীকৃত লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বসতঘরের বাউন্ডারি দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করে। চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণ বাটাখালী এলাকায় শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গৃহকর্তা ব্যবসায়ী মো. কুতুবউদ্দিন সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন দাবী করেন, আমি ২০০৫ সালে দক্ষিণ বাটাখালী এলাকায় জমি ক্রয় করে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। ওই ঘরের বেশিরভাগ অংশে পূর্বেই বাউন্ডারী দেওয়াল দেয়া হয়। অবশিষ্ট প্রায় ৫০ ফুট অংশ নির্মাণ শুরু করি বছরখানেক আগে। ওই সময় থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠু বাউন্ডারী ওয়াল দিতে হলে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। না হলে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করতে দেয়া হবেনা। ওই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়া হলে ওই অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেয়া হয় সদ্য প্রমোশন নিয়ে অন্যত্র বদলী হওয়া চকরিয়া সার্কেলের এএসপি মো. মাসুদ আলমকে। তিনি নোটিশ দিয়ে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।

কুতুব উদ্দিন আরো দাবী করেন, সপ্তাহকাল ধরে আমি অবশিষ্ট বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করি। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমার অনুপস্থিতিতে মিঠুর নেতৃত্বে ১৫-২০জন যুবক অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ ফুট বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এসময় বাঁধা দিলে আমার স্ত্রী জন্নাতুল নাঈম (৩৩)কে কিল-থাপ্পড় মেরে আহত করে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠু বলেন, ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। নিজেরা ঘটনা সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ব্যাখা দিয়ে তিনি বলেন, বাতিল হওয়া খতিয়ান নিয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তার আদালতে মামলা চলছে। ইতিপূর্বে একটি অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে চকরিয়া সার্কেলের সাবেক এএসপি উভয়পক্ষকে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু ওই আদেশ না মেনে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ শুরু করলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের বিচারের রায় না দেয়া পর্যন্ত ওয়াল নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলি মাত্র।