বঙ্গবন্ধুকে জড়িয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেয়ায় ছাত্রকে পুরস্কৃত করল পরিচালনা কমিটির সদস্য
মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হারবাং হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মোবারক রিশাদ নামের এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাকে বক্তব্যদানে উৎসাহিত ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মাদ্রাসার সুপার ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নুরুল আলমের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য রাখা মোবারক রিশাদ হারবাং ইউনিয়নের ভাইয়াকাটা গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ও হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরিক্ষার্থী।
হারবাং ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউছুফ ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার পৃথক দুটি অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের দফতরে। অভিযোগকারীদ্বয় অভিন্ন অভিযোগে বলেন ৩০ জানুয়ারী হারবাং হামিদিয় দাখিল মাদ্রাসায় বিদায় অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানে মোবারক রিশাদ নামক দাখিল পরিক্ষার্থী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা নন, যারা জাতির পিতা বলে তারা কাফের, মুনাফেক এবং শেখ মুজিব নিজেও মুনাফেক ও জারজ সন্তান”।
এই রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তা রিশাদকে উপরোক্ত বক্তব্য রাখতে মাদ্রাসা সুপার নুরুল আলম উৎসাহিত ও প্ররোচিত করেছেন বলে অভিযোগে দাবী করা হয়।
লিখিত অভিযোগে আরো দাবী করা হয়, অশালিন ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য শেষে বক্তাকে ৫শত করে এক হাজার টাকা পুরস্কৃত করেন আবুল কালাম ও ইমাম হোসেন নামের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য। এছাড়া তার বক্তব্যকে হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করেন মাদ্রাসা সুপার নুরুল আলম, সহ-সুপার আবুল বশর এবং মোরশেদ আলম নামের এক শিক্ষক।
হারবাং হামেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুল আলমের মুঠোফোনে অনেকবার কল করার পরও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তির দাবি দলীয় ও মাদ্রাসার গ্রæপিং এর কারণে একপক্ষকে ফাঁসাতে অন্যপক্ষ অপপ্রচার ও অভিযোগ তুলেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের ব্যাপারে একই ঘটনায় দুটি অভিযোগ পেয়েছি। এই অভিযোগ পত্র তদন্তপূর্ব আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে পাঠনো হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হারবাং ফাঁড়ির আইসির কাছে পাঠিয়েছি।
You must be logged in to post a comment.