মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিনটি বাড়ী ডাকাতি ও তিনজন শ্রমিককে অপহরণ করেছে ১০-১২জন সশস্ত্র ডাকাত। ওই ডাকাতরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে নারীসহ চারজনকে। অপহৃত তিনজনকে গহীণ অরণ্যে জিম্মি রেখে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছে।
সোমবার ভোররাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ায় ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। এইদিন রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রাখলেও অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অপহৃত শ্রমিকরা হলেন- কবির হোসেনের ছেলে জিয়াবুল ইসলাম (২৬), রমজান আলীর ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও মিলন মুন্সির ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৬)। এ সময় ডাকাতরা কুপিয়ে আহত করে মুন্সির বাড়ীতে বেড়াতে আসা ইউনুছ প্রকাশ ইনু প্রকাশ ইন্না ডাকাত ও জসিম উদ্দিন। পিটুনিতে আহত হয় ওই বাড়ীর দুই নারী। গুরুতর আহত ইনু ও জসিম অসংখ্য মামলার ফেরার আসামী হওয়ায় তারা আত্মগোপনে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে একাধিক সুত্র জানায়।
ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা নিশ্চিত করে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ঘটনা শুনে ভিলেজার পাড়া পরিদর্শন করেছি। এই সময় জানতে পারি ভিলেজার পাড়ার কবির হোসেনের দোকানে রাত ২ টায় ৬-৭ জন শ্রমিক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ানলীগের ফাইনাল খেলা দেখছিল। হঠাৎ ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত এসে দোকান ঘেরাও করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। প্রায় ৩০ মিনিট জিম্মি ঘটনার সময় ডাকাতরা ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে নিকটস্থ কবির হোসেন, নজির হোসেন ও মিলন মুন্সির বাড়ী ডাকাতি করে। ওই তিনটি বাড়ী থেকে স্বর্ণালংকারসহ অন্তত ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ডাকাতি শেষে দোকানে জিম্মি রাখা ৭জনের মধ্যে ৩জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।অপহৃত তিনজনকে ছাড়তে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়েছে মুঠোফোনে। ওই ফোন নাম্বারের সুত্র ধরে পুলিশ ট্র্যাকিং করে জানতে পারে অপহরণকারী ডাকাতদল ঈদগড় ওয়েস্ট কালাপাড়ার গহীণ অরণ্যে অবস্থান করছে। ফলে অপহৃতদের উদ্ধার করতে চকরিয়া থানা, ঈদগাও ফাঁড়ি, রামু থানা ও জেলা সদর থেকে পুলিশের একাধিক টিম ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খান জানান, অপহৃতদের উদ্ধার করতে পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে অভিযানে রয়েছি। আশা করছি অপহৃতদের খুব দ্রুত উদ্ধার করতে পারবো।
You must be logged in to post a comment.