সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / নারী ও শিশু / চকরিয়া থানা পুলিশের রহস্যময় ভূমিকা! ধর্ষিতা ঘুরছে বিচারের আশায়, মামলা প্রত্যাহারের হুমকি প্রভাবশালী ধর্ষকের

চকরিয়া থানা পুলিশের রহস্যময় ভূমিকা! ধর্ষিতা ঘুরছে বিচারের আশায়, মামলা প্রত্যাহারের হুমকি প্রভাবশালী ধর্ষকের

Rape - 14

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন বমুবিলছড়িতে ধর্ষণের শিকার হওয়া সপ্তদর্শী তরুণী নমিতা বডুয়া (ছদ্মনাম) বিচার পাওয়ার আশায় নানা দপ্তরসহ সমাজপতিদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে ফিরছে। এতে প্রকাশ্যে দাপটে বিচরণ করা ধর্ষক মামলা উঠিয়ে না নিলে ফের আরো বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে। দরিদ্র কৃষক নিরঞ্জনের মেয়েকে ধর্ষণের পর ৪৭ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে বমুবিলছড়ির ৩নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বড়ুয়া পাড়ার কৃষকের বাড়ীতে কৌশলে প্রবেশ করে নমিতাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রভাবশালী নারায়ণ দে। পরিবার সদস্যদের অনুপস্থিতিতে টানাহেচঁড়া ও ধর্ষণে আহত নমিতা হাসপাতালে চিকিত্সা নিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে তার পরিবার সদস্যদের অভিযোগ।

ফলে বাধ্য হয়ে ধর্ষক লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেরাখোলার প্রয়াত হরিমোহন দে’র ছেলে নারায়ণের বিরুদ্ধে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতে বড় ভাই সজল বডুয়া বাদী হয়ে ২১ এপ্রিল নালিশি অভিযোগ করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ওসিকে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ অভিযোগটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি হলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন। পরে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ফাইলবন্দি রয়ে যায় মামলাটি।

ভিকটিমের বড় ভাই সজল বডুয়ার অভিযোগ ধর্ষিতা বোনকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলেও রিপোর্ট না পাওয়ার অযুহাতে অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করছেনা পুলিশ। ফলে ধর্ষক নারায়ণ বহাল তবিয়তে বিচরণের পাশাপাশি বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্ত ধর্ষক নারায়ণ দের বাড়ী কক্সবাজারের চকরিয়ার বমুবিলছড়ির বডুয়া পাড়ার নিকটবর্তী বান্দরবানের লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডস্থ মেরাখোলার হিন্দুপাড়া। সে লামা পৌরসদরের ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছেনা। অভিযুক্ত ভিন্ন জেলায় অবস্থান করায় এবং দুর্গম পথ হওয়ায় পুলিশ অভিযান চালালেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তকে আটক করতে চকরিয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত, কক্সভিউ ডট কম, https://coxview.com/legal-aid-day-rafiq-27-4-2024-2/

লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/