একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চলতি বছরের জুলাই থেকে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই সংলাপ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলতে পারে।
২৩ মে মঙ্গলবার নির্বাচনী রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দলগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সংলাপ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি-এ সাত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ডিসেম্বরের শেষার্ধ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা নিজেরা (কমিশন) বসে ভোটের তারিখ দেব।’
প্রস্তাবিত ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে মঙ্গলবার প্রথম দফা আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি চূড়ান্ত হতে আরও ২৫-২০ দিন সময় লাগবে। তারপরই তা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনায় বসবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘এর প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সবার কাছে উপস্থাপন করা হবে। প্রযুক্তি নিয়ে সবাই একমত হলে তা ব্যবহারের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি থাকবে আমাদের।’
তবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে জোর করে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না বলেও জানান সিইসি।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানকে নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি।
সূত্র:priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.