অবৈধ অনুপ্রবেশ’র দায়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে’র রাজধানী শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ উন্নত চিকিত্সার জন্য ভারতের অন্য কোনো শহরে যাচ্ছেন! খুব শিগগিরই তিনি শিলং ছেড়ে যাবেন বলে বুধবার শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহ উদ্দিনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র টেলিফোনে আমাদের সময় ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্রটি জানায়, ‘বর্তমানে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ কারণে তিনি উন্নত চিকিত্সার জন্য ভারতের অন্য শহরে যেতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে শিলং সেশন কোর্টে তিনি (সালাহ উদ্দিন) যে আবেদন করেছিলেন, সেটি এখন সিদ্ধান্তের পর্যায়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি আদালত উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে ভারতের অন্য শহরে যাওয়ার অনুমোতি দিবেন।’
শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহ উদ্দিনের এক আত্মীয় জানান, ‘তার বাম দিকের কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিডনির অবস্থা এখন খুব খরাপ। হৃদরোগ ও চর্মরোগের অবস্থাও খারাপ। নিয়মিত তাকে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। শিলংয়ের একটি হাসপাতালে কয়েকজন চিকিত্সক তার কিডনি, হৃদরোগ ও চর্মরোগের চিকিত্সা করছেন। তার পা ফুলে গেছে।’
গত বছর বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এর প্রায় ২ মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা অবস্থায় উদ্ধার হন তিনি। সালাহ উদ্দিন কীভাবে ভারতে গেলেন আলোচিত ওই ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।
সালাহ উদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, ওই সময়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে নিবিড় চিকিত্সার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এর মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’ এ দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। যদিও পরে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান তিনি। তবে আদালতের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে শিলং অবস্থান করতে হচ্ছে এবং প্রতি সপ্তাহে সেখানকার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। সেখানকার নামি আইনজীবী এস পি মোহান্ত সালাহ উদ্দিনের মামলার আইনগত দিকগুলো দেখছেন।
গত বছর ২২ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তাঁর স্বামীর উন্নত চিকিত্সার দাবি জানিয়ে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য শিলং সেশন কোর্টে আবেদন জানান। যদিও সেই সময় আবেদনটি ওই বছর ২৯ মে খারিজ করে দেন। এরপর আরেকটি আবেদন করা হয়। সেটি এখন সিদ্ধান্তের পর্যায়ে রয়েছে।
সালাহ উদ্দিনের আইনজীবীদের আশা সিদ্ধান্তটি তাদের পক্ষেই আসবে। সালাহ উদ্দিন ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ের লাবাঙ এলাকার ‘সানরাইজ গেস্ট হাউজ’ নামের একটি বাড়িতে আছেন। সেখানে অনেকটা নীরবে বসবাস করছেন বিএনপির এই নেতা।
সূত্র: মৃদুভাষণডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.