এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কবুতর পাখি আর ছাদকৃষি করাই ছিল তার শখ। এ দুটি নিয়ে অনন্য স্বপ্ন দেখেন আহমদ করিম নামের এক টগবগে যুবক। পাখির প্রতি তার অফুরন্ত ভালাবাসার বহি:প্রকাশ ফুটিয়ে তুলেছেন খামারের মাধ্যমে। তার এ খামারে নানা জাতের প্রায় ১৫/২০ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। পাশে রয়েছেন টিয়া পাখিও। এ পাখির কন্ঠে মুখরিত হয়ে উঠেন তিনি নিজেও। তার রয়েছেন ব্যতিক্রমী এক ছাদকৃষি। যেখানে মাল্টা, আমলকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার ফলজ গাছের সমাহার যেন চোখে পড়ে।
ঈদগাঁও স্টেশনস্থ এক বিল্ডিংয়ের ছাদে এমনি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে এ প্রতিবেদকের।
সেই পাখিপ্রমী করিম সিকদার ব্যবসা বানিজ্যের পাশাপাশি ছাদের উপর শখের বসে গড়ে তুলেন কবুতর পাখিদের খামার। একপর্যায়ে পাখি পালন তার নেশায় পরিণত হয়। দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবত ধরে তিনি শখ করে পাখি পালন করে যাচ্ছেন। পাখি পালনের পাশাপাশি পরিচর্যার ক্ষেত্রেও ঝুঁকে পড়েন তিনি। এসব পাখিদের নিজের মত করে আদর যত্নে গড়েও যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েক প্রজাতির কবুতর পাখির সঙ্গে আহমদ করিমের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। অনেকটা মানুষের মনের ব্যাথা বুঝে দু’একটি টিয়া পাখি। ডাকার সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় তার কাছে। সেভাবেই পাখিদের যত্ন নিচ্ছেন কিন্তু তিনি। পাশাপাশি খামারের পাশে ছাদকৃষি দেখে মন ভরে গেল। সত্যিই এক নান্দনিক মহাউদ্যোগ। তার দেখাদেখি অনেকেই এই কাজের প্রতি মনোনিবেশ হবেন।
করিম জানান, পাখির প্রতি তার ভালোবাসা অনেক আগে থেকেই। তার খামারে লালন-পালন করা কবুতর গুলোকে নিজের মতোই দেখেন। নিজে খেতে দেরি হলেও সময় মতো পাখিদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আর এ কারণে কবুতর খামারে প্রবেশ করলেই ভয় না পেয়ে কাছে আসে। পাশাপাশি নিজ হাতে গড়ে তোলা ছাদকৃষির প্রতিও মায়া যেন কম নয়।
You must be logged in to post a comment.