সুন্দরী যুবতী মেয়ে মহুয়া। চঞ্চল হাস্যোজ্জ্বল এই তরুণীর মুখটি কুয়াকাটার মিস্ত্রিপাড়ার সাবার চেনা। রাখাইন পরিবারে বেড়ে উঠলেও কোন রাখাইন মায়ের কোলে তার জন্ম হয়নি। মহুয়ার যখন ২-৩ বছর বয়স তখন তার বাবা তাকে এথানচিং সমুদ্র তীরে কুড়িয়ে পেয়েছিল। সেই থেকে মহুয়া এ পরিবারে বেড়ে ওঠেছে।
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোন ধর্মের পরিবারে ওর জন্ম তা কারও জানা নেই। তাই তাকে বিয়ে করতে নারাজ রাখাইন গোত্রের সব পরিবার। একদিন আবির নামে যুবকের আগমন ঘটে। সমুদ্র তীর ঘেঁষে রাখাইন জাতিদের সারি সারি মাচান ঘরের বসতবাড়ি আকৃষ্ট করে তাকে। সেখানে মহুয়ার সঙ্গে দেখা হয় আবিরের।
ভাঙা ভাঙা বাংলাভাষায় কথা শুনে আরও মুগ্ধ হয়। মহুয়ার দুর্বিষহ জীবনে আবিরের হাতছানিই যেন স্বপ্নের বাসা বাঁধে। ঠিক তখনই আবিরের কুয়াকাটায় আসার উদ্দেশ্য শুনে থমকে যায় মহুয়া। গল্পটি ছেড়াদ্বীপ শিরোনামের একটি নাটকের।
এতে মহুয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা ও আগুন্তুক আবির চরেত্রে অভিনয় করেছেন নিলয়। এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা ফয়েজ আহমেদ রেজা।
ফয়েজ আহমেদ রেজার রচনা ও পরিচালনায় সম্প্রতি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার বিভিন্ন লোকেশনে এর দৃশ্যধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জোয়ার ভাটা টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত।
সূত্র:রাইজিংবিডিডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.