এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
দক্ষিণ চট্টলার বৃহৎ কোরবানী পশুর হাট বসে কক্সবাজারের নতুন উপজেলা ঈদগাঁওর বাজারে। এই পশুর হাটে ঈদগাঁও এলাকাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জ থেকে গরু মহিষ এনেছেন বিক্রেতারা। এ পশুর বাজারটি জমজমাট হয়ে উঠেছে।
২৪ জুন (শনিবার) গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুরের পর থেকে কোরবানি পশুর হাটে নানান সাইজের গরু মহিষে ভরে উঠে। দামের উপর নির্ভর করে কেউ কেউ দেখছেন আবার কেউবা কোরবানীর পশু কিনছেন। অনেকে পশুর দরদামে ব্যস্তমুখর।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কস্থ ঈদগাঁওর স্টেশনের দীর্ঘলাইন জুড়ে কোরবানী পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। দামও কিন্তু কম নয়। পাশাপাশি বড় আকারের গরু ও মহিষ ছিল চোখে পড়ার মত। তবে এ বাজারে কিং কালিয়া নামের একটি বড় গরুর দাম হাকিয়েছে ৬ লক্ষাধিক টাকা, অপরদিকে তুফান নামের আরেকটি গরুর দাম হাকিয়েছে ৪ লক্ষাধিক টাকা। মহা সড়কের দুইপাশ যেন গরু আর মহিষে ভরপুর।
বাজারে আসা স্থানীয় ক’জন জানান, কোরবানির জন্য দেশীয় গরুর দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। কিন্তু দাম চড়া। হিসেবে মিলাতে পারছেনা অনেকে। আরো কদিন বাকী আছে ঈদুল আযহা।
দেখা যায়, গরু মহিষ রাখার জন্য আলাদা পরিসরে সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা টহলে রয়েছে। জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ রয়েছে পশু বাজারে। বৃহত্তর ঈদগাঁও উপজেলা লোকজন ছাড়াও রামু, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকেও আসছে কোরবানীর গরু-মহিষ কিনতে।
বাজার ইজারাদার রমজান কোম্পানী জানান, এই হাট বাজারে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশী টহল অব্যাহত রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে কাঙ্খিত, পছন্দের গরু মহিষ কিনতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়।
You must be logged in to post a comment.