নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে জমিলা আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে ইউনিয়নের পালাকাটার শামসুল আলমের ছেলে প্রবাসী নজরুল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত জমিলা আক্তার ঈদগাঁও জাগির পাড়া এলাকার শামশুল আলমের কন্যা।
বিগত ৫ মাস পূর্বে নজরুল ইসলামের সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে জানান, বিয়ের পর থেকে কয়েকমাস সুখে শান্তি বসবাস করে আসছিল জমিলা। বিয়ের কিছু মাস পর স্বামী বিদেশ চলে গেলে শাশুড়ী সাহেরা খাতুন ও ননদরা মিলে গৃহবধূ জমিলাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। তার ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন বিকেলে মারধর করে রুমের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে হত্যা করেছে। জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন স্বজনরা।
এদিকে খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এদিকে স্থানীয়দের ধারণা জমিলা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি পূঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী। মেয়ের প্রতিবেশী সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যে রুমে লাশ ঝুলে ছিল, সে রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকলেও উপর দিয়ে মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে।
একই কথা জানালেন নিহতের ভাই মনির আহমদ। মনির আহমদ বলেন, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও দাফন কাফন শেষে মামলা দায়ের করা হবে। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে আসল রহস্য উন্মোচন হবে।
You must be logged in to post a comment.