সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / নির্বাচন সংক্রান্ত / জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’প্যানেলের প্রচারণা ফ্যাক্টর হতে পারে তরুণ আইনজীবীরা

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দু’প্যানেলের প্রচারণা ফ্যাক্টর হতে পারে তরুণ আইনজীবীরা

electionশহীদুল্লাহ কায়সার; কক্সভিউ :

অনেক চেষ্টা তদবির করেও নেতাদের মন গলানো সম্ভব হয়নি। ফলে ভাগ্যে মনোনয়ন জোটেনি। কিন্তু শুধু ভাগ্যের হাতে নিজেকে সমর্পণ করতে নারাজ। এতে সমাজে সুশিক্ষিত হিসেবে যে মান রয়েছে তার হানি ঘটতে পারে। ফলে নেতাদের কাছে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিতে পৃথকভাবে লড়তে হবে। গত কয়েক বছর এটাই ছিল কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির অবস্থা। শুধু বিদ্রোহীরা নন। অনেকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেন। কিন্তু চলতি বছরের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি সমিতির নির্বাচন। ইতোমধ্যে সমিতির পদ গ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার বাছাই কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কোন আইনজীবীর নাম নেই। শুধু দু’টি প্যানেলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বরাবরের মতো এবারও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন আওয়ামীলীগ ও সমমনা রাজনৈতিক দল সমর্থিত আইনজীবীরা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিপি এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইছহাক-(১) এবং এ্যাডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দিন।

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী আইনজীবীদের ব্যানারে প্যানেল গঠন করেছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা। এ্যাডভোকেট আবুল কালাম সিদ্দিকী সভাপতি এবং এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বর্তমানে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ৬’শ ৮০ জন। যদিও চলতি বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ৫’শ ৫৪ জন আইনজীবী। সমিতি নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সদস্যপদ হালনাগাদ না করায় বাকী আইনজীবীরা চলতি বছর ভোট প্রদানের অযোগ্য হলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাডভোকেট এম.শাহজাহানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ কামরুল হাসান, এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকের, এ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম এবং এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমদ।

এদিকে নির্বাচনের দিন যতোই সন্নিকটে আসছে প্রার্থীদের ব্যস্ততাও ততোই বাড়ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পুরোদমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে অফিস সময়ে আদালত প্রাঙ্গন এবং এরপর স্ব-শরীরে সমর্থক আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে সহকর্মীদের বাসা হচ্ছে তাঁদের যোগাযোগ কেন্দ্র। সহকর্মীরাও তাঁদের বিমুখ করছেন না। হাসিমুখে ভদ্রোচিত্র আইনজীবীসুলভ ব্যবহারের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করছেন। এক্ষেত্রে নবীন আইনজীবীরা সামান্য ব্যতিক্রম। জ্যেষ্ঠদের কাছে পেয়েই কল্যাণ তহবিল, চেম্বার সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছেন।

চলতি বছরের নির্বাচনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের প্রচারণায় স্টিকার, পোস্টার ব্যবহার না করতে বিধি আরোপ করে। ফলে ডিজিটাল ব্যানার এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, মুঠোফোন এবং সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চকরিয়া যান এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইছহাক এবং এ্যাডভোকেট আ.জ.ম মঈন উদ্দিন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট এ.কে আহমদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী।

অপরদিকে কক্সবাজার শহর এবং সদরে প্রচারণা চালান এ্যাডভোকেট আবুল কালাম সিদ্দিকী এবং এ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার আইনজীবী সমিতিতে কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে আইনজীবী ফরিদুল আলম বলেন, একজন মক্কেল তাঁর সর্বোচ্চ বিশ্বাস আইনজীবীদের হাতে সমর্পণ করেন। এ কারণে আইন এবং আইন পেশার মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা বদ্ধপরিকর তাঁদেরই নির্বাচিত করা প্রয়োজন।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/