দীর্ঘবছর পর অবশেষে ঈদগাঁওবাসীর প্রত্যাশিত স্বপ্ন পাবলিক লাইব্রেরী ও শহীদ মিনার নির্মিত হল। বহুদিন ধরে এর প্রবেশপথটি লাকড়ি ব্যবসায়ীরা তাদের বেচাকেনার উদ্দেশ্যে লাকড়ির স্তুপে পরিণত হয়ে রেখেছে। যাতে করে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে শহীদ মিনারে আসা সচেতন লোকজন দারুণভাবে প্রবেশ পথে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছে। এতে করে বৃহত্তর এলাকার সর্বপেশার লোকজনদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত ঈদগাঁও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির এবং খাদ্য গুদামের পার্শ্ববর্তী স্থানে পাবলিক লাইব্রেরী ও শহীদ মিনার বহু লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হয়। কিন্তু কিছু কাঠ ব্যবসায়ী এ প্রবেশমুখে যত্রতত্রভাবে কাঠের স্তুপ করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাই এসব কাঠের স্তুপ অন্যত্রে সরানোর জোর দাবী জানিয়েছে সচেতন লোকজন।
উল্লেখ্য যে, বহুমূখী প্রতিভা বিকাশের জন্য নির্মিত হয় একটি পাবলিক লাইব্রেরী। অন্যদিকে নানা জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর লক্ষ্যে আরেকটি নির্মিত হল শহীদ মিনার। এ দুটি গুরুত্ববহ সম্পদের প্রতি অবজ্ঞা করে এ ব্যবসায়ীরা কাঠ অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থাও নিচ্ছে না।
এদিকে বই মানুষের জ্ঞানের প্রতীক, বই মানুষকে জ্ঞানের জগতের আলোকে আলোকিত করে। কিন্তু এই বই যখন হয় দুষ্প্রাপ্য। তখন জ্ঞান চর্চার অভাবে মানুষ জ্ঞানের পরিবর্তে অন্ধকার পথে ধাবিত হয়। এই অন্ধকার পথে যাত্রীরা নানা অপরাধ কর্মকান্ডের পথে পা বাড়িয়ে সুন্দর সমাজকে কলুষিত করে তুলছে। এই আঁধার পথে যাত্রীদেরকে সুন্দর আলোর পথে এনে সভ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে সত্ পথের যাত্রী করতে পারে ভালমানের পুস্তক। শুধু তাই নয় শিক্ষিত মানুষের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করার জন্য চাই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও অর্থনীতি বিষয়ের উপর নানা পুস্তকাদি অত্র পাবলিক লাইব্রেরীতে মজুদ করে রাখার আহবান। সে সাথে একটি জাতীয় সম্পদ শহীদ মিনার, অপরটি জ্ঞান অন্বষণের আলোকময় স্থান পাবলিক লাইব্রেরীতে যাওয়ার পথেই লাকড়ির স্তুপ যেন সৌন্দর্য্য কেড়ে নিচ্ছে। তাই তাদেরকে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে এই দুই সম্পদকে আরো সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান অনেকে। প্রবেশ পথে লাকড়ির স্তুপ করা বেশ ক’জন কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.