শহীদুল্লাহ্ কায়সার; কক্সভিউ :
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রথম দিনেই উৎরে গেলেন দু’চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী এবং এ.এইচ.এম সালাহউদ্দিন মাহমুদ। ৩ ডিসেম্বর শনিবার তাঁদের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপী হওয়াসহ নির্বাচনী আইনে প্রার্থী হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন প্রমাণীকৃত তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জমা পড়েনি। আজ বাছাইয়ের শেষ দিনও এই অবস্থা বজায় থাকলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আইনি বৈধতা লাভ করবেন তাঁরা।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকলেও সদস্য পদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শনিবার বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের পক্ষ থেকেই আনা হয় এসব অভিযোগ। সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা বিভিন্ন সময় এসব ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েও পরিশোধ করেননি। ফলে ব্যাংকের তালিকায় তাঁরা ঋণ খেলাপী। এটিই ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
ভারপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার কাজি আবদুর রহমান এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসেন সেসব অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। এরপর সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে তাঁরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডের মনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (মুকুল), ২ নং ওয়ার্ডের জাফর আলম, ৩ নং ওয়ার্ডের সিরাজ মিয়া, ৪ নং ওয়ার্ডের এস.এম. গিয়াস উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ ইকবাল এবং ৫ নং ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া উল্লিখিতরা আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপীল করতে পারবেন। সেখানে বাতিলকৃত মনোনয়নপত্র টিকে গেলে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর বাতিল হলে একমাত্র উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তাঁদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।
৪ ডিসেম্বর রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ। যেখান থেকে জানা যাবে শেষ পর্যন্ত কারা আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অবতীর্ণ হবেন।
You must be logged in to post a comment.