সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঘূর্ণিঝড় : গ্রাম পুলিশদের কার্যক্রম

ঝুঁকি নিয়ে চলছে ঘূর্ণিঝড় : গ্রাম পুলিশদের কার্যক্রম

পেকুয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণার ১০ বছর তারপরও সরানো হয়নি ইউপি ভবন

mukul-31-10-16-news-2pic-f1-1

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

স্থানীয় প্রশাসন ১০ বছর পূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। জেলা প্রশাসন তিন বছর পূর্বে ভবণের কার্যক্রম না চালাতে বলে। তবুও ব্যবহার হচ্ছে ভবনটি। পরিত্যক্ত ঘোষণার পর ১০ বছর গত হলেও সরানো হয়নি কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনটি। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবন যেকোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় মানুষ। এতে ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনাও। দ্বিতল ভবনটি ২০০৬ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দশ বছরেও তা সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, স্বাধীনতার পূর্বে দূর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবহার করতে পেকুয়া সদরে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পরে এই ভবন ইউপি কার্যালয়সহ নানা দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ভবনটির আস্তর কষে পড়তে শুরু করে। ভেঙ্গে পড়ে দরজা-জানালা। পুরো ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিলে ২০০৬ সালে স্থানীয় প্রশাসন ওই ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। এতে নব-নির্মিত ভবনে ইউপি কার্যালয় সরে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমসহ রেড ক্রিসেন্টের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে পরিত্যক্ত ভবনটি।

২০১৩ সালের ২৬ জুন রাতে এই ভবনের ২য় তলার ছাদের একাংশ ধসে পড়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আহত হয়। ওই বছর জেলা প্রশাসক পেকুয়া পরিদর্শনে গেলে ভবনটিতে কোন কার্যক্রম না চালানোর জন্য মৌখিক নির্দেশনা জারি করেন। তবুও এই ভবন ব্যবহার অব্যহত থাকে। যেকোন মহুর্ত্বে পুরোপুরি ধসে পড়তে পারে। তাই এর নিচ দিয়ে চলাচল করতেও ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছাদ বলতে শুধুমাত্র মরিচা ধরা লোহার রডই আছে। বাকি সব নিচে খসে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে সব দরজা জানালা। পুরো ভবনের দেয়াল ও ছাদে সৃষ্ট ফাটল চোখে পড়ার মত। দেয়ালে জন্মানো পরগাছা আস্ত গাছে রূপান্তরিত হয়েছে। অন্ধকার ও ভবনের নাজুক অবস্থার কারণে ভিতরে ঢুকতেই ভয়ে গা শিউরে উঠে। কিন্তু এরপরেও ব্যবহার করা হচ্ছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। ভবনটির নীচ তলায় এখনো রয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচি (সিপিপি)’র পেকুয়া সদর ইউনিয়ন কার্যালয়, গ্রাম পুলিশদের বিশ্রামাঘার, ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম। এমনকি ইউপি কার্যালয়ের ভিজিডি, ভিজিএফ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ওই ভবনের নিচতলা থেকে।

বিগত ২৩ বছর ধরে উক্ত ভবনে নিয়মিত অফিস করা সিপিপি’র পেকুয়া সদর ইউনিয়নের টিম লিডার মঞ্জুর আলম বলেন, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো সত্বেও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অফিসিয়াল কাজ সারতে চরম ঝুঁকি নিয়ে ভবনটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই ভবনের নিচে জনসাধারণকে না বসার জন্য ইতিমধ্যে বলা হয়েছে।

এব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ ভবনটি সরানোর জন্য ইউএনওর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে অনেকবার পত্র পাঠানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক ভবনটি পরিদর্শন করে তা মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও সরানোর কোন ব্যবস্থা নেননি। আমার আগের চেয়ারম্যানও ভবনটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার পত্র দিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খাঁন বলেন, ভবনটি সরানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় এতদিন সরানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে, এটি দ্রুত সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/