সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / টেকনাফের পাহাড় গুলোতে রোহিঙ্গাদের রাজত্ব : ঝুঁকি নিয়ে বসবাস : প্রাণহানির আশংকা

টেকনাফের পাহাড় গুলোতে রোহিঙ্গাদের রাজত্ব : ঝুঁকি নিয়ে বসবাস : প্রাণহানির আশংকা

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা পাহাড় গুলো এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। এই অবৈধ দখল ও বসবাস করতে সাহার্য্য করছে অত্র এলাকার চিহ্নিত ভূমিগ্রাসীরা।

অনুসন্ধান করে দেখা যায়, টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড় গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ৩ লাখের বেশী রোহিঙ্গা। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের বাপ-দাদার বসত ভিটা বিক্রি করে প্রায় ৫ শতাধিক স্থানীয় হতদরিদ্র পরিবার বসবাস করছে পাহাড়ী এলাকায়।

পাহাড় গুলো ঘুরে আরো দেখা যায়, গত দুইদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির মাঝেও এই সমস্ত রোহিঙ্গারা জিবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের বসবাস অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে এলাকাবাসী আশংকা করছেন এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও রোহিঙ্গারা যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তারা যদি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে না যায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। স্থানীয়রা অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে ভাবে রোহিঙ্গারা দিনের পর দিন অত্র এলাকার পাহাড় গুলো দখল করে বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। এই ভাবে চলতে থাকলে এমন একদিন আসবে সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি টেকনাফ উপজেলার প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা পাহাড় গুলো বিলিন হয়ে যাবে।

রোহিঙ্গাদের অবৈধ ভাবে বসবাসরত পাহাড়ী এলাকা গুলো হচ্ছে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফকিরা ঘোনা, ধুমপেরাং বিল, গিলাতলি, বৈদ্য ঘোনা, নাজিরঘোনা, শিয়াইল্যার ঘোনা, পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কেরুনতলি, বরইতলি, ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন মাঠপাড়া, জাহালিয়াপাড়া, রোজার ঘোনা, হ্নীলা এলাকার রঙ্গিখালী, উলুচামারী, লেচুয়াপ্রাং, পানখালী, উত্তর সিকদারপাড়া, রোজার ঘোনা, মিনাবাজার, রক্ষ্যইম, লম্বা ঘোনা, দৈঘ্যাকাটা, আমতলি, নোয়াখালী, কচ্চপিয়া, বড় ডেইল, চাকমাপাড়া, হলবনিয়া, আছারবনিয়াসহ টেকনাফ উপজেলার এমন কোন পাহাড় নেই যেখানে রোহিঙ্গারা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছে না। স্থানীয়দের দাবী টেকনাফ উপজেলার পাহাড় গুলোতে বসবাসরত ৮০ শতাংশ লোক হচ্ছে রোহিঙ্গা।

আবার এই রোহিঙ্গারা সুযোগ বুঝে অবৈধভাবে পাহাড়ের গাছ গুলো নিধন করে যাচ্ছে দিনের পর দিন এই রোহিঙ্গারা খুব দাপটের সাথে তাদেরকে টেকনাফের স্থায়ী বাসিন্দা বলে দাবি করে পাহাড়ী বনভূমি দখল করে বসবাস করছে।

এ ব্যপারে টেকনাফ উপজেলা রেন্জ কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, টেকনাফ পাহাড় গুলোতে অবৈধ দখল নিয়ে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা জিবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে  তাদেরকে পাহাড় থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য মাইকিং করা হবে। তার পাশাপাশি যে সমস্ত ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে পাহাড় দখল করে বসবাস করছে সেই সমস্ত বাড়ী ঘর উচ্ছেদ করতে খুব শীঘ্রই উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং চিহ্নিত ভূমিগ্রাসীদের আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/