নিজস্ব প্রতিনিধি; টেকনাফ :
দিনের শেষে রাত পোহালেই ৭ সেপ্টেম্বর তার নবম (৯ম) শাহাদাত বার্ষিকী। বিগত ২০১১ সনের ৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আবদুল্লাহর শিশুপুত্র ও টেকনাফ বিজিবি স্কুলের ১ম শ্রেণীর ছাত্র আলী উল্লাহ আলোকে ভাড়াটিয়া খুনিরা তার নিজ বাড়ীর কাচারী ঘরে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছিল।
সেই আলোচিত হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এই নির্মম ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতারা এখনো রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এবং হত্যাকারী সুমন মূলহোতাদের সহযোগীতায় কৌশলে জামিনে বেরিয়ে চলে গেছে আত্মগোপনে।
এদিকে শহীদ আলোর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে শিশু আলোর শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। এই দিনটি উপলক্ষ্যে সকালে পবিত্র বোখারী খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, গরীব-দুঃস্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরনসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হবে শহীদ আলী উল্লাহ আলোর ৯ম শাহাদাত বার্ষিকী।
৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে গোদারবিল বায়তুশ শরফ এলাকায় আলোর পিতা এবং জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আবদুল্লাহর বাড়ীতে এই শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা বিএনপির অর্থ-সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আবদুল্লাহর শিশুপুত্র, টেকনাফ বর্ডারগার্ড পাবলিক স্কুলের ১ম শ্রেণীর ছাত্র আলী উল্লাহ আলোকে ভাড়াটিয়া খুনিরা তার নিজ বাড়ীর কাচারী ঘরে ৭ বছর বয়সী এই অবুঝ শিশুটিকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছিল। আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলো। অথচ এই নির্মম শিশু হত্যার সাথে জড়িত মুলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এমনকি ওই অদৃশ্য শক্তি ও হত্যা পরিকল্পনাকারী গডফাদাররা কৌশলে মামলার আসামী সুমনকে জামিনে মুক্ত করে এবং তাকেও হত্যা করার চেষ্টা করেছিল বলে জানায় আলোর বাবা আব্দুল্লাহ।
এদিকে শিশু আলোর জগন্যতম এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার দাবী করেছেন টেকনাফ উপজেলার সচেতন মহল।
You must be logged in to post a comment.