গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
পুর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার আগেই টেকনাফ উনচিপ্রাং পুটিবনিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনে বাধাগ্রস্ত করতে এক শ্রেণীর অর্থলোভী অসাধু এনজিও সংস্থার সদস্যদের ইশারায় রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভিতর বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিয়ে আঁরা ‘ন যাইয়ুম, আঁরা ‘ন যাইয়ুম’ (যাবো না, যাবো না) বলে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।
তথ্য সুত্রে জানা যায় ওই ক্যাম্প থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাবাসিত হওয়ার জন্য ২৯৮ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
জানা যায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের জানানো হয় যে তাদের জন্য অন্তত তিনদিনের খাবার দাবার ও জরুরি প্রয়োজনের দ্রব্যাদিসহ বাসে করে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়। এরপর তাদের বাসে ওঠার আহবান জানালে হঠাৎ করে তারা ‘যাবো না’ যাবো না’ বলে স্লোগান দেয়া শুরু করে। এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কয়েকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। যেখানে তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদান, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। বিক্ষোভের সময় রোহিঙ্গাদের হাতে বেশকিছু প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনের জন্য যেসব পরিবার তালিকাভুক্ত ছিল, তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা নাগরিকত্ব সহ বসত ভিটা ফিরিয়ে দিলে ফিরে যাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানান যে তারা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে রাজী না।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রাতের আঁধারে কিছু এনজিও ও অসাধু রোহিঙ্গা চক্র প্রত্যাবাসন শুরুর তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরে না যেতে ইন্দন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সেসব এনজিও ও ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।
You must be logged in to post a comment.