গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাহমুদুল হাসান নামে অস্ত্রধারী এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। সে হ্নীলা নয়াপাড়া মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এইচ ব্লক এলাকার মৃত বাকের আহমেদ পুত্র এবং শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকিরের ডান হাত।
উক্ত ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে। তারা হচ্ছে কনেস্টবল মিঠুন জয়, শাহীন ও হাবিব।
পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদে জানতে পারে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকির তার সদস্যদের নিয়ে আস্তানায় অবস্থান করছেন। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, নয়াপাড়া মোচনী শরণার্থী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপর এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ শুরু করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এক ডাকাতকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে, জরুরী বিভাগের কর্মরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি ৯এমএম বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এই ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পালিয়ে যাওয়া জড়িত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা ডাকাতদের দমন করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের অভিযানকে আরো কঠোর করা হবে।
You must be logged in to post a comment.