উত্তর কোরিয়া হামলার হংকার দিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে তা মোকাবিলার কথা শোনাচ্ছে। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসংঘ। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা চরম অবস্থায় রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী ভূমিকা মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে আছে বিশ্বের শীর্ষ পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শক্তি ও সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। এ বছর বিশাল পরিসরে সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ৩ লাখ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার সামরিক সদস্য এবারের যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। কোরীয় উপদ্বীপে এত বড় সামরিক মহড়া এর আগে কখনো হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানিয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবারের সামরিক মহড়ার পরিসর দ্বিগুণ হবে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান মিন-কো এ কথা বলেছেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা এবং স্যাটেলাইট উত্ক্ষেপণের পর কোরীয় উপদ্বীপের দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর উত্তর কোরিয়া সাগরে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অসন্তোষ প্রকাশ করে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান মিন-কো জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার উসকানিমূলক তত্পরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহড়া চলবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এই উদ্যোগের কঠোর বিরোধিকা করেছে উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং চীন।
অন্যদিকে কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সমারিক মহড়ার কড়া বিরোধিতা করে থাকে উত্তর কোরিয়া। প্রতিবছর এই মহড়াকে কেন্দ্র করে উত্তরের নেতারা হামলার হুমকি দিয়ে থাকে। এ বছর উত্তরের নেতাদের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
সূত্র: রাইজিংবিডিডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.