এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী গোমাতলীর চর পাড়া সড়কটি দশ বছর ধরে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে পড়ে। দুই পাশে গাইডওয়াল সহকারে সড়কটি নির্মানের দাবী জানান এলাকাবাসীর।
জানা যায়, সড়ক দিয়ে দৈনিক ৫ হাজারের মত মানুষ প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করে থাকে। গোমাতলী হয়ে ঈদগাঁও আর কক্সবাজার এবং নদীপথে মহেশখালী যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হচ্ছে এটিই। পশ্চিম গোমাতলী চরপাড়া সড়কের উপর নির্ভরশীল ৪/৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গর্ভবর্তী এবং অপরাপর রোগীদের যাতায়াতে নিদারুণ কষ্ট পেতে হচ্ছে এখানকার লোকজনকে। সড়কটির মরণ দশা যেন কাটছেনা। দীর্ঘকাল ধরে বেহাল সড়কের দেখার যেন কেউ নেই। সামান্য অংশেই ইট দিলেও বাকী অংশ এখনো কাঁচা। যার ফলে কষ্ট পাচ্ছে সড়ক নিয়ে চলাচলরত নর-নারীরা। লোক জনের দু:খ-দুর্দশা মুছনের কেউ যেন নেই।
গতকাল সকালে গোমাতলীর চরপাড়া সড়ক পরির্দশন কালে চোখে পড়ে এমনি দৃশ্য। চলতি বছরের শুরুতেই সড়কের ব্রীক সলিনের কাজ করলেও শেষ হতে না হতেই বসানো ইটগুলো সরে গিয়ে খানা খন্দকে পরিণত হয়ে পড়ে। নেই সড়কের দুই পাশেই কোন প্রকার গাইড ওয়াল। বিভিন্ন স্থানে সড়ক উন্নয়নের ছোঁয়া পেলেও চর পাড়ার এই সড়কটি এখনো উন্নয়ন বঞ্চিত।
স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, গোমাতলীর চরপাড়ার চলাচল সড়কের দুপাশে গাইড ওয়াল ব্যবস্থা করা হলে সড়কটি টেকসই হবে এবং বর্ষা মৌসুমে রাস্তার দুপাশে পানির চাপে ক্ষতি হবেনা অতি সহজে।
এছাড়াও উক্ত যাতায়াত সড়কের দুই পাশ জুড়ে বিশাল অংশে বর্ষাকালীন সময়ে চিংড়ী ঘেরে চাষাবাদ হয়ে থাকে। সে কারনে সড়কটি মজবুত ও টেকসই করনে গাইডওয়াল একান্তই দরকার।
এলাকার সাবেক মেম্বার আবদুল্লাহ জানান, দীর্ঘ ১০টি বছর ধরে গোমাতলীর চরপাড়া সড়কের বেহাল দশা। সড়কটি সংস্কার দাবী।
পোকখালী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক, চরপাড়ার সন্তান অহিদুর রহমান ইত্তেহাদ জানান, বৃহৎ এলাকার জনগোষ্টির কথা বিবেচনা করে টেকসই ভিত্তিতে সড়কটি গাইডওয়াল দিয়ে নির্মান করা হউক। অন্যথায় সড়কটি দীর্ঘস্থায়ী হবেনা এবং ভেঙ্গে যাবে সহজে।
ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ উপরোক্ত তথ্যাবলীর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়কটি অর্ধেক সংস্কার করা হয়। সেটিও ভেঙ্গে গেছে।
You must be logged in to post a comment.