সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল পাস

দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল পাস

Parlament

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪- এর তফসিলভুক্ত দণ্ডবিধি ১৮৬০- এর কতিপয় ধারা পূর্বের মতো পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হওয়ার বিধান করে সংসদে দূর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে সংসদ কার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।

বিলটিতে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, সেলিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম ওমর, বেগম নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ফখরুল ইমাম, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী ও আব্দুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ২-এর (ক) দফা (কক) দফা সংখ্যায়িত করা হয়। সংখ্যায়িত (কক) এর পূর্বে দফা (ক) সন্নিবেশ করা হয়। নতুন দফায় বলা হয়, ‘অনুসন্ধান’ অর্থ তফসিলভুক্ত কোন অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রাপ্ত বা জ্ঞাত হওয়ার পর উহা কমিশন কর্তৃক তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত ও লিপিবদ্ধ হওয়ার পূর্বে উক্ত অভিযোগের প্রাথমিক সভ্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে কমিশন বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রম।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ২০-এর (ক) উপান্তটিকায় উল্লেখিত তদন্তের ক্ষমতা শব্দগুলোর পরিবর্তে অনুসন্ধান বা তদন্তের ক্ষমতা শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া উপধারা ১-এর উল্লেখিত তদন্তযোগ্য শব্দের পরিবর্তে অনুসন্ধানযোগ্য বা তদন্তযোগ্য শব্দগুলোর প্রতিস্থাপন করা হয়।

বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ২৮ ক-এর পরিবর্তে নতুন ২৮ ক প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন ধারায় বলা হয়, এই আইনের অধীনে অপরাধসমূহে আমযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতার ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর সিডিউল ২-এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হবে।

বিলে বিদ্যমান আইনের তফসিলের পরিবর্তে নতুন তফসিল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। নতুন তফসিলে বলা হয়, এই আইনের অপরাধসমূহ হচ্ছে দণ্ডবিধির বিভিন্ন সেকশনের অধীন অপরাধসমূহ এবং সেকশন ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪৭৭ এ-এর অধীন কোন অপরাধ সরকারি সম্পর্কিত হলে অথবা সরকারি কর্মচারী বা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হলে কেবল সেই ক্ষেত্রে বর্ণিত অপরাধসমূহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭-এর অধীন অপরাধসমূহ,মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’র অধীন ঘুষ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধসমূহ, দণ্ডবিধি ১০৯, ১২০বি এবং ৫১১-এর অধীন অপরাধসমূহ। বিলে এসব অপরাধসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাতীত তদন্তাধীন, বিবেচনাধীন থাকলে তা এখতিয়ার তদন্ত সংস্থা ও সম্পন্ন আদালতে স্থানান্তরিত করার বিধান করা হয়।

সূত্র:risingbd.com

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ : নারী ভোটারদের উপস্থিতি : অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে ব্যাপক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/