এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদ যুবলীগের কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। নেই কোন চাঙ্গাভাব। তৃণমূল নেতাকর্মী সিদ্ধান্তহীনতা ও হতাশায় ভোগছেন।
ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সম্মেলন ও হয়েছিল অনেক পূর্বে। মহামারী ভাইরাসের ফলে দলীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নতুন করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালুর পরও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন একটা চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছেনা। অনেকে ব্যবসায়ীক বা নানা কাজেকর্মে ছিড়কে পড়েন।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা আদর্শিক, সংগঠক ও ক্লিন ইমেজ নেতাদের হাতে সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব অর্পন করে যুব সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ দলের চরম দু:সময়ে রাজপথে থাকা পরিক্ষিতদের মূল্যায়নের দাবী তৃণমূল কর্মীদের।
জালালাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০১৪ সালে। তিন বছর মেয়াদী কমিটির সময়ও পার হলো বহুপূর্বেই। সেই থেকে তৃণমূলকে সু-সংগঠিত করতে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি কোনভাবেই। যা ছিল তাই দিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। যার ফলে, ঐতিহ্যবাহী যুব সংগঠন যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা নিস্ক্রিয়। তৃণমূল নেতাদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরছেনা। ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জিয়াবুল মোর্শেদ মাঝপথে বিদেশে অবস্থানের কারনে কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব ও পালন করেছিল যুগ্ম সম্পাদক শামসুল আলম।
জালালাবাদ যুবলীগের সভাপতি হাসান তারেক জানান, তৃণমুলে যুবলীগকে সু-সংগঠিত করতে হলে সম্মেলনের বিকল্প নেই। ত্যাগী ও পরিক্ষিত কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করেই যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে ফের চাঙ্গা করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক জিয়াবুল মোর্শেদ জানান, জালালাবাদ যুবলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। নেই তৃণমূলের কমিটিও শক্তিশালী। মাঝে-মধ্যে মিটিং হলে দুয়েকজন নেতাকর্মী আসে। এভাবে চলছে সংগঠনের কার্যক্রম।
তৃণমূল যুবলীগ কর্মী সাহেদ কামাল জানান, সদর যুবলীগ সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু ও সাধারন সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকোর নির্দেশনা পেলেই জালালাবাদ যুবলীগে কাজ করতে প্রস্তুত।
You must be logged in to post a comment.